০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:০০

স্থগিত হওয়া দুই বিসিএস পরীক্ষা কবে?

সরকারি কর্ম কমিশন  © ফাইল ফটো

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন ও শেখ হাসিনার পতনের পর দফায় দফায় ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা ও ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এই পরীক্ষাগুলো আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আগামী অক্টোবর মাসে স্থগিত হওয়া পরীক্ষাগুলো আয়োজন করা হতে পারে।

পিএসসি’র একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে, বিসিএসসহ পিএসসি’র নেওয়া ৩০টি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের কারণে মূলত পরীক্ষাগুলো পেছানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহে তদন্ত প্রতিবেদন জমা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য স্থগিত হওয়া পরীক্ষা শুরুর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। প্রতিবেদনে কোনো পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ পাওয়ার কথা উল্লেখ থাকলে সেই পরীক্ষা বাতিল হবে।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে পিএসসি’র শীর্ষ এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা যাবে না। তবে অন্যান্য কার্যক্রম, যেমন ভাইভা বোর্ড পুনর্গঠন, প্রশ্নপত্র তৈরি ও মডারেশনের কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। এজন্য একটি রোডম্যাপ তৈরির চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। রোডম্যাপ অনুযায়ী সব কাজ এগিয়ে রাখা হবে।

প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ না মিললে কবে নাগাদ ৪৪ ও ৪৬তম বিসিএসের পরীক্ষা আয়োজন করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা আরও জানান, আমাদের পরিকল্পনা হলো- প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা বাতিল করা। আর প্রমাণ না পাওয়া গেলে স্থগিত পরীক্ষাগুলো আগামী অক্টোবর মাসে আয়োজন করা হতে পারে।  

৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ক্যাডারে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নেওয়া হবে।

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ১০ হাজার ৬৩৮ জন প্রার্থী। এসব প্রার্থীই লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেবেন। এ বিসিএসে ৩ হাজার ১৪০টি পদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। সহকারী সার্জন ১ হাজার ৬৮২ জন ও সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন নেওয়া হবে। এরপর সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে। বিভিন্ন বিষয়ে এ ক্যাডার থেকে বিসিএস শিক্ষায় ৫২০ জন নেওয়া হবে।