জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে চূড়ান্ত ফল পেছানোর শঙ্কা
আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত পাওয়া পর দ্রুত সময়ের মধ্যে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর নিয়োগের ফল প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছিল সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। তবে এখনো আন্দোলন চলমান থাকায় ফল প্রকাশের কার্যক্রম পেছাবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
গত ১৮ আগস্ট থেকে পিএসসি’র সামনে অনশন করছেন জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর নিয়োগের চূড়ান্ত ফল প্রত্যাশীরা। অনশনে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনের অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
পিএসসি বলছে, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর নিয়োগের ফল প্রত্যাশীরা আদালতের স্থগিতাদেশের উপর দুই মাসের ভ্যাকেট নিয়ে এসেছেন। এই সময়সীমা আগামী ৮ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। এর মধ্যে ফল প্রকাশ করতে না পারলে ফল প্রকাশের কার্যক্রম আবার পিছিয়ে যেতে পারে। প্রার্থীদের জন্য ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে অনশনের কারণে এটি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে পিএসসি’র শীর্ষ এক কর্মকর্তা গতকাল বুধবার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টরদের সুবিধার্থে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত এনেছি। সব কাজ বাদ দিয়ে তাদের কাগজপত্র জমা নেওয়া হয়েছে। এই কাগজপত্র যাচাই করা, লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষার নাম্বার সমন্বয় করা, প্রার্থীদের যোগ্যতা অনুযায়ী সুপারিশ করাসহ বেশ কিছু কাজ বাকি রয়েছে। এই কাজগুলো পিএসসি করতে পারছে না।
তিনি বলেন, প্রার্থীরা পিএসসি’র কার্যালয় ঘেরাও করে অনশন করছেন। এর ফলে আইটি বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট শাখার সদস্য, পরিচালক ও অন্যান্য কর্মকর্তারা ভয়ে অফিসে আসতে পারছেন না। তারা অফিসে না আসলে ফল তৈরির কাজ করবে কে? এখনো কিছুটা সময় বাকি আছে। আমাদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিলে ৮ সেপ্টেম্বরের পূর্বেই তারা ফল পাবেন। তবে এভাবে অনশন করতে থাকলে এই ফল প্রকাশ আরও পিছিয়ে যাবে।
এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টরদের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। কয়েক ধাপে অনুষ্ঠিত হওয়া এ পরীক্ষা গত ২৭ মে শেষ হয়েছে।
জানা গেছে, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টিএসসিতে ৪৪ ক্যাটাগরিতে ৩ হাজার ২০০ জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর নিয়োগ দেওয়া হবে। এজন্য ৭ হাজার ৪০০ প্রার্থীর কাছে ২০২৩ সালের মে মাসে কাগজপত্র জমা নেয় পিএসসি। প্রথম দুই ধাপে প্রায় ৫ হাজার ৮০০ প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। শেষ ধাপে এক হাজার ৬০০ প্রার্থীর ভাইভা নিয়েছে পিএসসি।