পিএসসির ফাঁস হওয়া প্রশ্নে কেউ চাকরি পেলে ব্যবস্থা: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
সরকারী কর্ম কমিশনের (পিএসসি) ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কেউ চাকরি পেয়েছে তা প্রমাণ হলে চাকরি-বিধি অনুযায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পিএসসি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তারা তাদের নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা থেকে কাজ করবে। সংসদে তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় হচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তারা ব্যবস্থা নেবেন বলে এরই মধ্যে চেয়ারম্যান সাহেব বলেছেন। বিষয়গুলো প্রমাণ হতে হবে এবং তার জন্য প্রচেষ্টা চলছে।
এ সময় চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল নিয়ে চলা আন্দোলন নিয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, সরকারও চায় বিষয়টি নিষ্পত্তি হোক তবে আদালতকে আমরা সম্মান ও শ্রদ্ধা করি। আদালতের বিষয়টি আদালতের গিয়েই সমাধান করতে হয়। শিক্ষার্থীদের রাস্তায় না থেকে এ বিষয়টি আদালতে গিয়ে নিষ্পত্তি করতে হবে।
এর আগে, গত ১২ বছরে বিসিএসসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে পিএসসির কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তাদের আসামি করে রাজধানীর পল্টন থানার মামলা দায়ের করা হয়।
বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) অধীনে নেয়া ১২ বছরের নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে কোনো অভিযোগ ছিল না। এ বিষয়ে দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত প্রতিবেদনের কারণে বিপিএসসির ভাবমূর্তি ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সোমবার (৮ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন অভিযোগ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পিএসসি বলেছে, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল-২৪ গতকাল রোববার (৮ জুলাই) পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অধীন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ রেলওয়ের নন-ক্যাডার 'উপসহকারী প্রকৌশলী' পদের নিয়োগ পরীক্ষাসহ, গত ১২ বছরে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) এবং অন্যান্য নন-ক্যাডার পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে যে প্রতিবেদন প্রচার করেছে, সে বিষয়ে বিপিএসসি'র দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।
গত এক যুগে বিসিএসসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে চ্যানেল-২৪ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। বাস্তবতা হলো- গত ১২ বছরে বিপিএসসি-তে অনুষ্ঠিত বিসিএস ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পরীক্ষা সম্পর্কে কোনো মহল থেকে কখনোই কোনো ধরনের অভিযোগ বা অনুযোগ ছিল না, বিধায় এটি প্রমাণিত যে, ওই সকল পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময়ে অনুষ্ঠিত বিসিএস ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে নতুন করে কোনোরূপ অভিযোগ উত্থাপনের অবকাশ নেই। প্রতিবেদনে গত ১২ বছরে সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত এ সব পরীক্ষার বিষয়ে বিরূপ প্রচার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিপিএসসির ভাবমূর্তি ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে।