বিসিএসে চাকরি বেশি হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের প্রার্থীদের
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস বা বিসিএসে চাকরি বেশি হচ্ছে ঢাকা বিভাগের প্রার্থীদের। চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়ার ক্ষেত্রে এর পরের অবস্থানে রয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগের প্রার্থীরা।
সম্প্রতি ২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পিএসসি। প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে ৪১ ও ৪৩তম বিসিএসের নানা তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ৪১তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত ২ হাজার ৫১৬ জন প্রার্থীর মধ্যে সর্বাধিক সুপারিশপ্রাপ্ত হিসেবে প্রথম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা বিভাগ। এ বিভাগের ৫২৩ জন প্রার্থী সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। শতকরায় যা ২০.৭৯ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ৪১তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন ৪৬২ জন। শতকরায় যা ১৮.৩৬ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে থাকা রাজশাহী বিভাগ থেকে সুপারিশ পেয়েছেন ১৪. ৮৬ শতাংশ প্রার্থী। এছাড়া খুলনা ১৪.৭৯, বরিশাল বিভাগ থেকে ৫.১৭, সিলেট থেকে ৩.৫৪, রংপুর থেকে ১৩ ও ময়মনসিংহ বিভাগের ৯.৫০ শতাংশ প্রার্থী চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।
তথ্য বলছে, ৪৩তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত ২ হাজার ১৬৩ জন প্রার্থীর মধ্যে সর্বাধিক সুপারিশপ্রাপ্ত হিসেবে প্রথম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা বিভাগ। এ বিভাগের ৪৭১ জন ৪৩তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। যা শতকরায় ২১.৭৮ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে সুপারিশ পেয়েছেন ৩৬৯ জন। শতকরায় যা ১৭.০৬ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে থাকা রাজশাহী বিভাগ থেকে সুপারিশ পেয়েছেন ১৪.৮৪ শতাংশ প্রার্থী। এছাড়া খুলনার ১৩.৫৫, বরিশালের ৬.৮৯, সিলেটের ২.৩১, রংপুরের ১৩.৫৫ এবং ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে ১০.০৩ শতাংশ প্রার্থী এ বিসিএসে নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছেন।
পিএসসির বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ৪১ ও ৪৩তম বিসিএসে মানবিক বিভাগ থেকে সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। তবে পিএসসি যাঁদের চাকরির জন্য চূড়ান্তভাবে সুপারিশ করেছিল, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিলেন বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী। ৪১তম বিসিএসে সুপারিশ করা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৩৬ দশমিক ২১ শতাংশ ছিলেন বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী। ৪৩তম বিসিএসে সেটি ছিল ৩৮ দশমিক ১৪ শতাংশ। অবশ্য পিএসসির প্রতিবেদনে প্রকৌশল ও চিকিৎসাবিজ্ঞানকে আলাদা বিভাগ দেখানো হয়েছে। এই দুটি বিভাগকে বিজ্ঞান বিভাগের সঙ্গে যোগ করলে দেখা যায়, ওই দুই বিসিএসে চূড়ান্তভাবে সুপারিশ পাওয়াদের মধ্যে ৬৫ শতাংশের বেশি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।