রেলওয়ের সাব এ্যাসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে যা জানাল পিএসসি
বাংলাদেশ রেলওয়ের সাব এ্যাসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা আগামী ১৮ মে হওয়ার কথা ছিল। তবে আগামী ৫ মে থেকে শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় ওইদিন পরীক্ষা আয়োজন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় পরীক্ষা এগিয়ে আনা হবে নাকি পেছানো হবে তা সংশয় দেখা দিয়েছে।
সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) একটি সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে, আজ রবিবার রেলওয়ের সাব এ্যাসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কথা ছিল। তবে ১৮ মে পরীক্ষা হওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দেওয়ায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়নি। পরীক্ষার তারিখ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামীকাল সোমবার অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় বসবে পিএসসি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, রেলওয়ের সাব এ্যাসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের বিষয়টি ইউনিট ১২ দেখছে। এ বিষয়ে তারাই ভালো বলতে পারবে।
জানতে চাইলে পিএসসির ইউনিট ১২-এর পরিচালক এবিএম মাহবুব হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, রেলওয়ের সাব এ্যাসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার পদের পরীক্ষা নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। পরীক্ষা নির্ধারিত দিনেই হবে নাকি পেছানো হবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চেয়ারম্যান স্যার দেবেন। আগামীকাল সোমবার এ বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
পিএসসির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, শনিবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত বাতিল হলে আগামী ১৮ মে’তেই রেলওয়ের সাব এ্যাসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। তবে শনিবার স্কুল খোলা থাকলে পরীক্ষা এক বা দুই সপ্তাহ পেছানো হবে। পরীক্ষা পেছানো হলে শুক্রবার পরীক্ষা আয়োজন করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিএসসির এক কর্মকর্তা জানান, শনিবার স্কুল খোলা থাকায় আমরা ১৭ মে (শুক্রবার) পরীক্ষা আয়োজন করতে চেয়েছিলাম। তবে ২৫টি কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র একটি কেন্দ্র ওইদিন পরীক্ষা নিতে পারবে বলে জানিয়েছিল। তাই পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। শিগগিরই এ বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।
জানা গেছে, ২০১৯ সালে রেলওয়ের সাব এ্যাসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে পদসংখ্যা বাড়িয়ে ২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সরকারি কর্ম কমিশন। নতুন এবং পুরোনো মিলিয়ে এক লাখ ৩৩ হাজার ৭৩৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেন। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের এক বছরের বেশি সময় অতিক্রম হলেও এখনো পরীক্ষা আয়োজন করতে পারেনি পিএসসি।