৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল এপ্রিলে
৪৪তম বিসিএসের ৯ হাজারের বেশি খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানো হয়েছে। খাতা মূল্যায়নের কাজ প্রায় শেষ দিকে। এপ্রিল মাসে এই বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হতে পারে।
এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বলেন, আমরা মার্চের শেষ দিকে ফল প্রকাশের পরিকল্পনা করেছিলাম। তবে নম্বর গণনাসহ বেশ কিছু কাজ থাকায় মার্চে হয়তো ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে না। আশা করছি এপ্রিলের শুরুতে ফল প্রকাশ করতে পারব।
পিএসসি’র একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে, ৪৪তম বিসিএসের ৯ হাজার ২৯০টি খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে পরীক্ষকরা খাতা দেখার কাজ শেষ করেছেন। তবে এখনো সব খাতা পিএসসিতে পাঠানো হয়নি। সে কারণে মার্চে ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে না।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে পিএসসি’র ক্যাডার শাখার উচ্চপর্যায়ের এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, পরীক্ষকেরা খাতা মূল্যায়ন করতে বেশি সময় নিচ্ছেন। পরীক্ষকদের জন্য রোডম্যাপ অনুযায়ী ফল প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তবুও আমরা চেষ্টা করছি। আশা করছি এপ্রিলের শুরুতেই ৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা যাবে।
জানা গেছে, ৪৪তম বিসিএসের ক্ষেত্রে সব পরীক্ষককে ১০০টি করে খাতা মূল্যায়নের জন্য দেওয়া হয়েছিল। খাতা দেখার জন্য তাদের ১৫ দিন করে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। পরীক্ষকেরা খাতা দেখা শেষ করে তা পিএসসিতে জমা দিয়েছেন। দুই পরীক্ষকের নম্বরের ব্যবধান যাচাই শেষে ৯ হাজার ২৯০টি খাতায় প্রথম ও দ্বিতীয় পরীক্ষকের নম্বরের ব্যবধান ২০ শতাংশের বেশি হওয়ায় খাতাগুলো তৃতীয় পরীক্ষকের মাধ্যমে মূল্যায়নের জন্য পাঠানো হয়েছে।
২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৪৪তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন শুরু হয়। আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি। পরে তা বাড়িয়ে ২ মার্চ নির্ধারণ করে পিএসসি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ না হওয়ার কারণে আবেদনের সময় প্রায় এক মাস বাড়ানো হয়। এই বিসিএসে ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন।
এরপর ২০২২ সালের ২৭ মে মাসে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ২৫ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশের মাধ্যমে রেকর্ড করে পিএসসি। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১৫ হাজার ৭০৮ জন প্রার্থী পাস করেন। ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়েছিল।
৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ক্যাডারে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নেওয়া হবে।