১৪ বছর পর ২৯তম বিসিএসের ভাইভা দিলেন দেবদাস বিশ্বাস
২৯তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার ১৪ বছর পর ভাইভা দিয়েছেন দেবদাস বিশ্বাস নামে এক প্রার্থী। তার ভাইভা নিতে একটি বিশেষ বোর্ড গঠন করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। ওই বোর্ডে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দেবদাস বিশ্বাসের ভাইভা নেওয়া হয়েছে।
পিএসসির একটি সূত্র জানায়, বিশেষ বোর্ড বসিয়ে দেবদাস বিশ্বাসের ভাইভা নেওয়া হয়েছে। এখন তাকে ফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি। তবে যদি তিনি ভাইভায় পাস করেন, তাহলে তার ফল প্রকাশিত হবে। কেননা, যারা পাস করেন না, তাদের ফল প্রকাশ করে না পিএসসি।
এর আগে, ১৫ ফেব্রুয়ারি পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আনন্দ কুমার বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষার বিষয়টি জানানো হয়।
পিএসসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন এবং সিভিল পিটিশন ফর লীভ টু আপিলের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে দেবদাস বিশ্বাসের মৌখিক পরীক্ষা আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় পিএসসির প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
এতে বলা হয়, প্রার্থীকে কমিশনের প্রেরিত সাক্ষাৎকারপত্র এবং সাক্ষাৎকার পত্রে বর্ণিত কাগজপত্রসহ নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে উপস্থিত হতে হবে। প্রার্থী নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে তার মৌখিক পরীক্ষা আর গ্রহণ করা হবে না।
২০১০ সালের জানুয়ারিতে ২৯তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর একই বছরের জুলাইয়ে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এতে মোট ৭ হাজার ২১৭ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। এরপর ওই বছরের ১৭ আগস্ট থেকে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মোখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও সেসময় ডাক পাননি দেবদাস।
পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাস বলেন, ২৯তম বিসিএসের ভাইভা পরীক্ষার সময় বোর্ডে টাকা জমা দেওয়ার রসিদ সঙ্গে আনার নিয়ম ছিল। কিন্তু রসিদ সঙ্গে না আনায় তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে তিনি আদালতে রিট করেছিলেন। আদালতের চূড়ান্ত রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর আবার তাকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়।