৪৪তম বিসিএস: ৯ হাজারের বেশি খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে যাচ্ছে
৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা দ্বিতীয় পরীক্ষকের মাধ্যমে মূল্যায়ন শেষ হয়েছে। এই বিসিএসের ৯ হাজারের বেশি খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানো হচ্ছে। প্রথম ও দ্বিতীয় পরীক্ষকের নম্বরের ব্যবধান ২০ শতাংশের বেশি হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সরকারি কর্ম কমিশনের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সূত্র জানায়, ৯ হাজার ২৯০টি খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ৪৪তম বিসিএসের ৯ হাজারের বেশি খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানো হবে। ইতোমধ্যে খাতা পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
কবে নাগাদ তৃতীয় পরীক্ষকের খাতা মূল্যায়ন শেষ হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আমরা ১৫ দিনের মধ্যে খাতা মূল্যায়ন শেষ করার নির্দেশনা দেব। আশা করছি পরীক্ষকরা এই সময়সীমার মধ্যে খাতা মূল্যায়ন শেষ করে জমা দেবেন।
এর আগে ৪১তম বিসিএসে ১৫ হাজার এবং ৪৩তম বিসিএসের ১০ হাজার খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানো হয়েছিল।
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, ৪৪তম বিসিএসের ক্ষেত্রে সব পরীক্ষককে ১০০টি করে খাতা মূল্যায়নের জন্য দেওয়া হয়েছিল। খাতা দেখার জন্য তাদের ১৫ দিন করে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। পরীক্ষকেরা খাতা দেখা শেষ করে তা পিএসসিতে জমা দিয়েছেন। দুই পরীক্ষকের নম্বরের ব্যবধান যাচাই শেষে ৯ হাজার ২৯০টি খাতায় প্রথম ও দ্বিতীয় পরীক্ষকের নম্বরের ব্যবধান ২০ শতাংশের বেশি হওয়ায় খাতাগুলো তৃতীয় পরীক্ষকের মাধ্যমে মূল্যায়নের জন্য পাঠানো হবে।
২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৪৪তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন শুরু হয়। আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি। পরে তা বাড়িয়ে ২ মার্চ নির্ধারণ করে পিএসসি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ না হওয়ার কারণে আবেদনের সময় প্রায় এক মাস বাড়ানো হয়। এই বিসিএসে ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন।
এরপর গত ২৭ মে মাসে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ২৫ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশের মাধ্যমে রেকর্ড করে পিএসসি। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১৫ হাজার ৭০৮ জন প্রার্থী পাস করেন। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়েছিল।
৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ক্যাডারে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নেওয়া হবে।