৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরুর তারিখ জানাল পিএসসি
৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে পারে। পরীক্ষার তারিখ জানিয়ে ১০ জানুয়ারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। বিজ্ঞপ্তি তৈরির কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি যে কোনো সময় প্রকাশিত হবে। ২০ জানুয়ারির পর যে কোনো দিন এই বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু হবে।’
পিএসসি’র একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র আজ সোমবার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে, ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত করতে অনানুষ্ঠানিকভাবে একটি সভা হয়েছে। সভায় ২৩ জানুয়ারি থেকে লিখিত পরীক্ষা শুরুর প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবনা অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি তৈরির কাজ শুরু করেছে পিএসসি’র ক্যাডার শাখা।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে পিএসসি’র ক্যাডার শাখার এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ২৫ জানুয়ারি থেকে লিখিত পরীক্ষা শুরুর প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে পিএসসি’র অনানুষ্ঠানিক সভায় পরীক্ষার তারিখ কিছুটা এগিয়ে আনা হয়েছে। আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে লিখিত পরীক্ষা শুরু হবে।’
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ‘৪৫তম লিখিত পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। কবে কোন বিষয়ের পরীক্ষার হবে সেটি চূড়ান্ত করতে একদিনের মতো সময় লাগবে। আশা করছি আগামী ১০ জানুয়ারি ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার তারিখ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারব।’
গত ২৭ নভেম্বর থেকে ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। এ পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিলো ৪ ডিসেম্বর। আর কারিগরি বা পেশাগত ক্যাডারের পদসংশ্লিষ্ট বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা আগামী ৬ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ১১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিলো।
চলতি বছরের ১৯ মে ৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৩ লাখ ৪৬ হাজার পরীক্ষার্থী আবেদন করলেও পরীক্ষায় অংশ নেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ১১৯ জন। পরীক্ষা দেননি ৭৮ হাজার ৮০৩ জন।
গত ৬ জুন ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে উত্তীর্ণ হয় ১২ হাজার ৭৮৯ জন। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পর সবচেয়ে কম সময়ে এ ফল প্রকাশ করে পিএসসি।
৪৫তম বিসিএসের মাধ্যমে মোট ২ হাজার ৩০৯ জন ক্যাডার নেওয়া হবে। নন-ক্যাডারে নেওয়া হবে ১ হাজার ২২ জনকে। ৪৫তম বিসিএসে ২ হাজার ৩০৯ ক্যাডারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে চিকিৎসায়। সহকারী ও ডেন্টাল সার্জন মিলিয়ে ৫৩৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। চিকিৎসার পর সবচেয়ে বেশি শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ পাবেন ৪৩৭ জন। এরপর পুলিশে ৮০, কাস্টমসে ৫৪ ও প্রশাসনে ২৭৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।