৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু হতে পারে ২৫ জানুয়ারি
৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা আগামী ২৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে পারে। আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে লিখিত পরীক্ষার তারিখ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। আজ সোমবার সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) একাধিক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পিএসসি’র একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে, ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরুর জন্য ২০ থেকে ২৬ জানুয়ারির মধ্যে যেকোনো একটি তারিখ চূড়ান্ত করণের প্রস্তাব এসেছে। পরীক্ষা শুরুর অন্তত ১৫ দিন আগে প্রার্থীদের অবহিত করতে হবে। ১০ জানুয়ারি লিখিত পরীক্ষার তারিখ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে। সে হিসেবে ২৫ জানুয়ারি থেকে লিখিত পরীক্ষা শুরুর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে পিএসসি’র উচ্চপর্যায়ের এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ‘স্থগিত হওয়া ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরুর একটি তারিখ প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। শিগগিরই কমিশনের সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে ২৫ অথবা ২৬ জানুয়ারি থেকে ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু হতে পারে।
আরও পড়ুন: নন-ক্যাডারে ৭৪০০ প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা শুরু ৪ ফেব্রুয়ারি
এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, জানুয়ারির শেষ দিকে ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু করা হতে পারে। এ বিষয়ে কাজ চলছে। শিগগিরই পিএসসি’র ওয়েবসাইটে পরীক্ষা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।’
গত ২৭ নভেম্বর থেকে ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। এ পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিলো ৪ ডিসেম্বর। আর কারিগরি বা পেশাগত ক্যাডারের পদসংশ্লিষ্ট বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা আগামী ৬ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ১১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিলো।
চলতি বছরের ১৯ মে ৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৩ লাখ ৪৬ হাজার পরীক্ষার্থী আবেদন করলেও পরীক্ষায় অংশ নেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ১১৯ জন। পরীক্ষা দেননি ৭৮ হাজার ৮০৩ জন।
গত ৬ জুন ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে উত্তীর্ণ হয় ১২ হাজার ৭৮৯ জন। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পর সবচেয়ে কম সময়ে এ ফল প্রকাশ করে পিএসসি।
৪৫তম বিসিএসের মাধ্যমে মোট ২ হাজার ৩০৯ জন ক্যাডার নেওয়া হবে। নন-ক্যাডারে নেওয়া হবে ১ হাজার ২২ জনকে। ৪৫তম বিসিএসে ২ হাজার ৩০৯ ক্যাডারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে চিকিৎসায়। সহকারী ও ডেন্টাল সার্জন মিলিয়ে ৫৩৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। চিকিৎসার পর সবচেয়ে বেশি শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ পাবেন ৪৩৭ জন। এরপর পুলিশে ৮০, কাস্টমসে ৫৪ ও প্রশাসনে ২৭৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।