৪৬তম বিসিএসে আবেদন পড়ছে কম
৪৬তম বিসিএসের আবেদনগ্রহণ চলছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। এই বিসিএসে অন্যান্য বিসিএসের তুলনায় আবেদন কম পড়েছে। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ১ লাখ ৩৪ হাজারের বেশি আবেদন পড়েছে এই বিসিএসে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) একাধিক সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পিএসসি’র একটি সূত্র জানিয়েছে, নিয়মিত বিসিএস পরীক্ষা হওয়া এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশ করায় দিন দিন বিসিএসে আবেদন সংখ্যা কমছে। ভবিষ্যতে বিসিএসে আবেদন সংখ্যা আরও কমবে। এছাড়া দেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণেও অনেকে আবেদন করেননি।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে পিএসসি’র উচ্চপর্যায়ের এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ‘বুধবার পর্যন্ত ৪৬তম বিসিএস ১ লাখ ৩৪ হাজার ২৬৩ জন আবেদন করেছেন। আবেদন সংখ্যা কিছুটা কম মনে হলেও এই সংখ্যা দুই লাখ ছাড়াতে পারে। নিয়মিত বিসিএস হওয়ায় আবেদন সংখ্যা কমছে।’
আরও পড়ুন: ৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল এপ্রিলে
এদিকে আগামী বছরের মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এক বছরের মধ্যে এই বিসিএসের কার্যক্রম শেষ করার পরিকল্পনা করেছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।
এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে এই বিসিএস শেষ করতে চাই। মার্চে ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে।’
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এবারের বিসিএসে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদের শুন্য থাকা আসনে মোট ৩১৪০ জন ক্যাডার নিয়োগ পাবেন।
পিএসসির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এবারের বিসিএসে প্রশাসন, পুলিশ, পররাষ্ট্রসহ প্রশাসনের বিভিন্ন ক্যাডার পদে সুযোগ পাবেন মোট ৪৮৯ জন। এছাড়াও রেলওয়ে প্রকৌশল, সড়ক ও জনপথ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলসহ সংশ্লিষ্ট শূন্য পদগুলোতে মোট ২০৭৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
এবারের বিসিএসে শিক্ষায় নিয়োগ পাবেন ৪২৯ জন। এর মধ্যে সাধারণ শিক্ষা, সরকারি সাধারণ কলেজ সমূহের শূন্য পদে নিয়োগ পাবেন প্রার্থীরা। এছাড়াও সাধারণ শিক্ষায় সরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজসমূহে আলাদা করে নিয়োগ পাবেন প্রার্থীরা। এসব কলেজে বিভিন্ন বিষয়ে মোট ৯১টি শূন্য পদের কথা জানিয়েছে পিএসসি। এর বাইরেও শিক্ষায় কারিগরিসহ বিশেষায়িত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আরও নিয়োগ দেওয়া হবে ৫৭ জনকে।