৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল এপ্রিলে
৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা দ্বিতীয় পরীক্ষকের মাধ্যমের মূল্যায়নের কাজ শেষ হয়েছে। এখন প্রথম ও দ্বিতীয় পরীক্ষকের নম্বরের ব্যবধান স্ক্রিনিং করা হবে। এই প্রক্রিয়া শেষে বেশ কিছু খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানো হতে পারে। আগামী এপ্রিল মাসে ৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরকারি কর্ম কমিশনের একটি দায়িত্বশীল সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে, ৪৪তম বিসিএসের রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এই রোডম্যাপ অনুযায়ী লিখিত পরীক্ষার খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে গেলে এপ্রিলের ২৪ তারিখ ফল প্রকাশের কথা বলা হয়েছে। আর খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে না গেলে ২৪ ফেব্রুয়ারি ফল প্রকাশ করা হবে বলে রোডম্যাপে বলা হয়েছে।
ওই সূত্র আরও জানায়, রোডম্যাপ অনুযায়ী লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর নন-ক্যাডারে নিয়োগ প্রত্যাশীদের কাছে আবেদনগ্রহণ করা হবে। এরপর মৌখিক পরীক্ষা শুরু করা হবে। মৌখিক পরীক্ষার জন্য তিন মাস সময় ধরা হয়েছে। আগস্টের মধ্যে এই বিসিএসের ক্যাডার ও নন-ক্যাডার নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে।
আরও পড়ুন: ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের ভাইভা একসঙ্গে আয়োজনের পরিকল্পনা
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে পিএসসি’র উচ্চপর্যায়ের এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘প্রতিটি বিসিএসের জন্যই আমাদের একটি রোডম্যাপ থাকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে রোডম্যাপে নির্ধারিত সময়সীমার আগেই কার্যক্রম শেষ করা হয়। ৪৪তম বিসিএসের ক্ষেত্রেও এমনটি হতে পারে। কেননা ইতোমধ্যে দ্বিতীয় পরীক্ষকদের খাতা মূল্যায়নের কাজ শেষ হয়েছে।’
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ‘আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে দ্বিতীয় পরীক্ষকের খাতা স্ক্রিনিংয়ের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এরপর তৃতীয় পরীক্ষক প্রয়োজন হলে তাদের ১৫ দিন করে সময় দেওয়া হবে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব প্রক্রিয়া শেষ করে মার্চে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরিকল্পনাও আমাদের রয়েছে। এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা চেষ্টা করছি রোডম্যাপের আগেই সব কার্যক্রম শেষ করতে।’
আরও পড়ুন: বিসিএস পরীক্ষায় জট কাটছে, ভোগান্তি কমছে
এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা হলো দ্রুত সময়ের মধ্যে ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শেষ করা। আগামী বছর দুটি বিসিএসের চূড়ান্ত সুপারিশের পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছি। আশা করছি এপ্রিলের আগেই ৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা যাবে।’
২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৪৪তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন শুরু হয়। আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি। পরে তা বাড়িয়ে ২ মার্চ নির্ধারণ করে পিএসসি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ না হওয়ার কারণে আবেদনের সময় প্রায় এক মাস বাড়ানো হয়। এই বিসিএসে ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন।
এরপর গত ২৭ মে মাসে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ২৫ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশের মাধ্যমে রেকর্ড করে পিএসসি। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১৫ হাজার ৭০৮ জন প্রার্থী পাস করেন। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। এখন লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের পালা।
৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ক্যাডারে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নেওয়া হবে।