যোগ্যপ্রার্থী না পাওয়ায় ৫৫টি পদে সুপারিশ করতে পারেনি পিএসসি
৪৩তম বিসিএসের ক্যাডার ও নন-ক্যাডারে চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে মোট ২ হাজার ৮০৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। তবে কারিগরি/পেশাগত ক্যাডারের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয়সংখ্যক যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় বিভিন্ন ক্যাডারের মোট ৫৫টি পদে ৭০১ জনকে সুপারিশ করতে পারেনি পিএসসি।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে চূড়ান্ত সুপারিশের ফল প্রকাশ করা হয়। এতে যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় নন-ক্যাডারে মোট ৭০১টি পদে সুপারিশ করতে পারেনি পিএসসি। ফাঁকা রয়েছে নবম গ্রেডের ৫৭টি এবং ১০ম গ্রেডের ৫৮৯টি পদ।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখের নম্বরপত্রের মাধ্যমে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন শ্রম অধিদপ্তরের ৯ম গ্রেডের সহকারী পরিচালকের ১৪টি, ১১তম গ্রেডের জনসংখ্যা ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তার ৬টি এবং ১২তম গ্রেডের শ্রম কর্মকর্তার ৫টি—মোট ২৫টি পদ ৪৩তম বিসিএসের নন-ক্যাডার থেকে প্রত্যাহার করায় উক্ত পদগুলোয় মনোনয়ন করতে পারেনি পিএসসি।
এ ছাড়া অর্থ বিভাগের অধীন বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের কার্যালয়ের এসএএস সুপারিনটেনডেন্টের ২৯টি পদ ৪৩তম বিসিএসের নন-ক্যাডার থেকে প্রত্যাহার করায় উক্ত পদগুলোয় মনোনয়ন করা হয়নি।
২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত বছরের জুলাই মাসে লিখিত পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করে পিএসসি। গত ২০ আগস্ট লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৮৪১ জন।গত বছরের ২০ জানুয়ারি ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশিত হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ১৫ হাজার ২২৯ প্রার্থী।
আরও পড়ুন: ৪৩তম বিসিএসে ক্যাডার ও নন-ক্যাডারে সুপারিশ পেলেন ২৮০৫
৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ১০০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫, শিক্ষা ক্যাডারে ৮৪৩, অডিটে ৩৫, তথ্যে ২২, ট্যাক্সে ১৯, কাস্টমসে ১৪ ও সমবায়ে ১৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ ছিল।