৪৪তম বিসিএসের খাতাও তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে যাচ্ছে
৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা দ্বিতীয় পরীক্ষকের মাধ্যমের মূল্যায়নের কাজ প্রায় শেষ। এই বিসিএসের বেশ কিছু খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রথম ও দ্বিতীয় পরীক্ষকের নম্বরের ব্যবধান ২০ শতাংশের বেশি হওয়ায় এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে ৪১তম বিসিএসে ১৫ হাজার এবং ৪৩তম বিসিএসের ১০ হাজার খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানো হয়েছিল। এবার ৪৪তম বিসিএসের খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) একাধিক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, ৪৪তম বিসিএসের ক্ষেত্রে সব পরীক্ষককে ১০০টি করে খাতা মূল্যায়নের জন্য দেওয়া হয়েছিল। খাতা দেখার জন্য তাদের ১৫ দিন করে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। পরীক্ষকেরা খাতা দেখা শেষ করে তা পিএসসিতে জমা দিয়েছেন। এখন দুই পরীক্ষকের নম্বরের ব্যবধান যাচাই করা হচ্ছে। বেশ কিছু খাতায় প্রথম ও দ্বিতীয় পরীক্ষকের নম্বরের ব্যবধান ২০ শতাংশের বেশি। এই অবস্থায় খাতাগুলো তৃতীয় পরীক্ষকের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে পিএসসি’র শীর্ষ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘৪১তম বিসিএসের প্রায় ১৫ হাজার খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হয়েছে। এছাড়া ৪৩তম বিসিএসের ১০ হাজার খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে গেছে। সেই ধারাবাহিকতায় ৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতাও তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে যাবে। তবে এবার হয়তো সংখ্যা অনেক কম হবে।’
ওই কর্মকর্তা অরাও জানান, ৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশ করা হতে পারে। একই সাথে মৌখিক পরীক্ষার তারিখও ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণা করা হতে পারে।’
২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৪৪তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন শুরু হয়। আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি। পরে তা বাড়িয়ে ২ মার্চ নির্ধারণ করে পিএসসি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ না হওয়ার কারণে আবেদনের সময় প্রায় এক মাস বাড়ানো হয়। এই বিসিএসে ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন।
এরপর গত ২৭ মে মাসে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ২৫ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশের মাধ্যমে রেকর্ড করে পিএসসি। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১৫ হাজার ৭০৮ জন প্রার্থী পাস করেন। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। এখন লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের পালা।
৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ক্যাডারে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নেওয়া হবে।