ক্যাডার ও নন-ক্যাডার নিয়োগ

৪৩তম বিসিএসে প্যানেল দাবি—যা বললেন চেয়ারম্যান

সোহরাব হোসাইন ও লোগো
সোহরাব হোসাইন ও লোগো  © ফাইল ছবি

৪৩তম বিসিএসে ক্যাডার ও নন-ক্যাডারে প্যানেল করে নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রার্থীদের একটি অংশ। গত সোমবার সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সামনে এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানান চাকরিপ্রার্থীরা।

চাকরিপ্রার্থীদের এসব দাবিকে অযৌক্তিক আখ্যা দিয়েছেন পিএসসি কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, যৌক্তিক যে কোনো দাবি সমর্থন করে পিএসসি। তবে অযৌক্তিক কোনো কিছু মেনে নেওয়া হবে না। যারা মানববন্ধন করেছেন তারা না জেনে না বুঝে এই দাবি জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিএসসি’র উচ্চপর্যায়ের এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, একটি চক্র সহজ-সরল চাকরিপ্রার্থীদের ভুল বুঝিয়ে আন্দোলনে নিয়ে এসেছেন। এখানে তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ রয়েছে। তারা চাঁদা তোলে। এই চাঁদা দিয়ে মাইক ভাড়া করে মানববন্ধন করে। বাকি টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়।

আরও পড়ুন: ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা কবে— জানালেন চেয়ারম্যান

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, কোন বিসিএস থেকে নন-ক্যাডারে কতজনকে নিয়োগ সুপারিশ করা হবে এটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ঠিক করে দেয়। এখানে পিএসসি’র কোনো হাত নেই। পিএসসি কেবল নিয়োগের সুপারিশ করে। নন-ক্যাডারে কেবলমাত্র ৯ম গ্রেডে একজন প্রার্থী সমগ্রেডে সুপারিশ পান। অন্য কোনো গ্রেডে এই সুযোগ নেই। কাজেই তাদের একটি দাবিও সঠিক নয়।

এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, স্বাধীন দেশে যে কেউ যে কোনো বিষয় নিয়ে মানববন্ধন করতে পারে। এখানে পিএসসি’র কিছু করার নেই। 

ক্যাডার ও নন–ক্যাডারের নিয়োগ সুপারিশ একসঙ্গে করা প্রসঙ্গে পিএসসি চেয়ারম্যান জানান, বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও অনেকে ক্যাডার পদে সুপারিশ পান না। ফল প্রকাশের পর ক্যাডাররা হয়তো খুশি হন। তবে ক্যাডারের কোনো পদ না পেয়ে নন–ক্যাডারের অপেক্ষায় থাকা প্রার্থীরা হতাশায় ভোগেন। এটি অনুধাবন করে পিএসসি ক্যাডারের সঙ্গে সঙ্গে নন–ক্যাডারের ফল একসঙ্গে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।

আরও পড়ুন: ৪৩তম বিসিএসের ক্যাডার ও নন-ক্যাডারে প্যানেল থেকে নিয়োগের দাবি

তিনি আরও বলেন, নন–ক্যাডারের পদ বরাদ্দ দিতে অনেক সময় লেগে যায়। আবেদন শেষ করে প্রার্থীদের যোগদানেও সময়ক্ষেপণ হয়। একই সাথে বিসিএস দিয়ে একজন অনেক আগেই চাকরিতে প্রবেশ করছেন, আরেকজন অনেক দেরিতে কর্মজীবন শুরু করছেন। এতে বৈষম্য তৈরি হচ্ছে বলে মনে হয়। সে কারণে একসঙ্গে ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের ফল প্রকাশ করা হবে। ৪৩তম বিসিএস থেকেই এটি বাস্তবায়ন করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ