মার্চেই ৪৫তম বিসিএসের প্রিলি নিতে চায় পিএসসি
নির্ধারিত সময়েই ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজন করতে চায় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। তবে নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা আয়োজন করা কঠিন বলেও মনে করছে সংস্থাটি।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) পিএসসি’র একাধিক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
পিএসসি কর্মকর্তারা বলছেন, ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজনের জন্য প্রাথমিকভাবে একটি তারিখ নির্ধারণ করা আছে। ওই তারিখেই পরীক্ষা আয়োজনের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে প্রশ্নপত্র ছাপা থেকে শুরু করে নানা কারণে পূর্ব নির্ধারিত তারিখে পরীক্ষা আয়োজন করা কঠিন হবে।
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, ৪৫তম বিসিএসের প্রশ্ন এখনো ছাপানোর কাজ শুরু হয়নি। প্রশ্নপত্র ছাপানোর বিষয়ে গতকাল একটি ছাপাখানার সাথে সভা করেছে পিএসসি। সভায় আগামী ১০ মার্চের পূর্বেই প্রশ্নপত্র ছাপানোর কাজ শেষ করার কথা জানিয়েছে ওই ছাপাখানা। প্রশ্নপত্র ছাপানো নিয়ে সমস্যা না থাকলেও পরীক্ষা কেন্দ্র নিয়ে সমস্যা হতে পারে বলে মনে করছে পিএসসি।
এর কারণ হিসেবে ওই সূত্র বলছে, আগামী ১০ মার্চ ৪৫তম বিসিএসের প্রিলির তারিখ নির্ধারণ করা আছে। ওইদিন মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা রয়েছে। ফলে ১০ মার্চ পরীক্ষা আয়োজন করা কঠিন। তবে আমরা মার্চেই প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজন করতে চাই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিএসসি’র এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজনের ব্যাপারে নতুন করে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ১০ মার্চ পরীক্ষা আয়োজনের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। তবে কোনো কারণে ওইদিন পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব না হলে মার্চের অন্য কোনো দিন পরীক্ষা আয়োজন করা যায় কিনা সে বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পিএসসি’র সচিব মু. আবদুল হামিদ জমাদ্দার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে আশাবাদী। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী পরীক্ষা আয়োজন করা কঠিন।
পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চলতি সপ্তাহে একটি সভা হওয়ার কথা। সেই সভা কবে হতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিতই আছে। এটির জন্য কোনো সভা হবে বলে আমার জানা নেই। এমন তথ্য আপনি কোথায় পেয়েছেন বলেও জানতে চান তিনি।
পিএসসি সচিব আরও বলেন, আমরা মার্চেই ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজন করতে চাই। ১০ মার্চ সম্ভব না হলে এটি পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে। তবে মার্চেই পরীক্ষা আয়োজনের চেষ্টা করা হবে।