লিখিতের আসন দৈবচয়ন প্রক্রিয়ায়, সময় নিয়ে কেন্দ্রে আসার অনুরোধ
৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা আগামী ২৯ ডিসেম্বর শুরু হবে। আবশ্যিক বিষয়ের এই পরীক্ষা আগামী ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। পরীক্ষার আসন হবে দৈবচয়ন প্রক্রিয়ায়। এতে প্রার্থীদের নিজ আসন এবং কক্ষ চিহ্নিত করা কিছুটা সময়সাপেক্ষ হবে। এজন্য প্রার্থীদের হাতে সময় নিয়ে কেন্দ্রে আসার অনুরোধ জানিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আনন্দ কুমার বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরীক্ষা হলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়িয়ে চলার লক্ষ্যে হাজিরা তালিকায় প্রাণীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর জোড় ও বিজোড়ে বিন্যস্ত করে এবং প্রতিটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর কক্ষওয়ারি দৈবচয়ন (Random) ভিত্তিতে সাজিয়ে হাজিরা তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
দৈবচয়ন (Random) প্রক্রিয়ায় নিজ আসন এবং কক্ষ চিহ্নিত করা কিছুটা সময়সাপেক্ষ। এ পরিপ্রেক্ষিতে নিজ আসন এবং রুক্ষ চিহ্নিত করার জন্য প্রার্থীদেরকে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে নিজ নিজ পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
আরও পড়ুন: বিসিএসে পাস করলেই নিশ্চিত চাকরি!
৪৪তম বিসিএস পরীক্ষায় মোট ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন। ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৪৪তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন শুরু হয়। আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি। পরে তা বাড়িয়ে ২ মার্চ নির্ধারণ করে পিএসসি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ না হওয়ার কারণে আবেদনের সময় প্রায় এক মাস বাড়ানো হয়।
এরপর গত ২৭ মে মাসে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ২৫ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশের মাধ্যমে রেকর্ড করে পিএসসি। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১৫ হাজার ৭০৮ জন প্রার্থী পাস করেন।
৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ক্যাডারে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নেওয়া হবে।