৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা দ্বিতীয় পরীক্ষকের কাছে
৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা প্রথম পরীক্ষকের দ্বারা মূল্যায়নের কাজ শেষ হয়েছে। এই খাতা দ্বিতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানো শুরু হয়েছে।
চলতি বছরের ২৪ জুলাই থেকে ৪৩তম বিসিএসের আবশ্যিক বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। শেষ হয় ৩১ জুলাই। আর পেশাগত/কারিগরি ক্যাডারের পরীক্ষা ৫ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, নভেম্বর মাসের শুরুতেই প্রথম পরীক্ষকরা ৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা দেখার কাজ শেষ করেন। এরপর সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) থেকে দ্বিতীয় পরীক্ষকদের কাছে খাতা পাঠানো হচ্ছে। পিএসসি’র ক্যাডার শাখা থেকে সংশ্লিষ্টদের ফোন করে খাতা নিয়ে যেতে বলা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বেশ কয়েকজন পরীক্ষক পিএসসি কার্যালয় থেকে লিখিত পরীক্ষার খাতা সংগ্রহ করেছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পিএসসি সচিব মু. আবদুল হামিদ জমাদ্দার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ৪৩তম বিসিএসের খাতাগুলো দ্বিতীয় পরীক্ষকদের কাছে পাঠানো শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে খাতা দেখার কাজ শেষ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বিসিএসে এখন বেশ জট লেগে রয়েছে। এই জট খোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেজন্য আমরা এক বছরে তিনটি বিসিএস শেষ করার উদ্যোগ নিয়েছি। ২০২৩ সালে ৪১তম, ৪৩তম এবং ৪৪তম বিসিএসের কার্যক্রম শেষ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পিএসসি বদ্ধ পরিকর।
এর আগে গত বছরের ২৯ অক্টোবর ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় ২০২২ সালের ২০ জানুয়ারি। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১৫ হাজার ২২৯ জন।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ৪৩তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ১০০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫, শিক্ষা ক্যাডারে ৮৪৩, অডিটে ৩৫, তথ্যে ২২, ট্যাক্সে ১৯, কাস্টমসে ১৪ ও সমবায়ে ১৯ জন নিয়োগ দেওয়া হবে।