১২ জুন ২০২১, ১২:৪৪

করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকায় বেড়েছে শিশু শ্রমিক

শিশু শ্রমিক  © ফাইল ছবি

করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা অলস সময় পার করছে এবং একই সাথে কোভিড-১৯ এর ফলে দারিদ্র্য বেড়ে যাওয়ায় শিশু শ্রমিক বাড়ছে। জাতিসংঘের সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, দারিদ্র্য ও স্কুল বন্ধ থাকাই শিশু শ্রমিক বাড়ার প্রধান কারণ।

এদিকে ২০২১ সালের মধ্যে ঝুকিপূর্ণ শিশুশ্রম শূন্যের কোঠায় নামানোর প্রতিশ্রুতি থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই সময়সীমা ২০২৫ পর্যন্ত বাড়িয়েছে শ্রম মন্ত্রণালয়।

আজ শনিবার (১২ জুন) বিশ্ব শিশু শ্রম প্রতিরোধ দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের আহ্বান, শিশু শ্রমের অবসান’। 

এদিকে শ্রম আইন অনুযায়ী, ১২ থেকে ১৪ বছরের শিশুরা শুধুমাত্র হালকা কাজ করতে পারবে। আর ১৪--১৮ বছরের কিশোরদের নিয়োগ দেয়া গেলেও মোট ৩৮টি ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত করা যাবে না।

আইএলও ও ইউনিসেফ এক প্রতিবেদনে জানিয়ছে, করোনা সংকটের ফলশ্রুতিতে আরো লাখ লাখ শিশুকে শ্রমে ঠেলে দেয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, যা গত ২০ বছরের অগ্রগতির পর আবার শিশু শ্রম বাড়িয়ে দেবে। ‘কোভিড-১৯ ও শিশু শ্রম: সংকটের সময়, পদক্ষেপের সময়’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত শিশু শ্রম ৯ কোটি ৪০ লাখ কমেছে, কিন্তু এই অর্জন এখন ঝুঁকির মুখে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এরইমধ্যে শ্রমে থাকা শিশুদের হয়তো আরো বেশি কর্মঘণ্টা কাজ করতে হচ্ছে বা তাদের আরো খারাপ পরিবেশে কাজ করতে হতে পারে। আরো বেশি সংখ্যক শিশু হয়তো ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিযুক্ত হতে বাধ্য হবে, যা তাদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মারাত্মক হুমকির।

প্রতিবেদনে শিশু শ্রম বৃদ্ধির ঝুঁকি মোকাবেলায় বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের সুপারিশ করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে অধিকতর সমন্বিত সামাজিক সুরক্ষা, দরিদ্র পরিবারের জন্য সহজে ঋণ পাওয়ার সুযোগ, বড়দের মানসম্মত কাজের সুযোগ বৃদ্ধি, স্কুলের বেতন বাতিলসহ শিশুদের স্কুলে ফেরা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ, শ্রম পরিদর্শন ও আইন প্রয়োগে সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়গুলোও রয়েছে।