সাত ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা এপ্রিলে নেয়ার চিন্তা বিএসসির
করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত হওয়া সমন্বিত সাত ব্যাংকের পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে নতুন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সাথে কোনো আলোচনা হয়নি ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির (বিএসসি)। ফলে আগামী মার্চেও এ পরীক্ষা আয়োজন করা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে এ পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়।
বিএসসি সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরবর্তী সময়ে বড় ধরনের পরীক্ষা আয়োজনের ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে সরকারি কর্ম কমিশনকে (পিএসসি) অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। আগামী ১৯ মার্চ ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেছে পিএসসি। এর পর ২৬ মার্চ সরকারি ছুটি। এর মধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে এ পরীক্ষাগুলো শেষ না হওয়া পর্যন্ত সাত ব্যাংকের পরীক্ষা আয়োজনের সম্ভাবনা কম।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএসসির সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক আরিফ হোসেন খান মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘সমন্বিত সাত ব্যাংকের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নিয়ে কোনো খবর দিতে পারছি না। কেননা বিষয়টি নিয়ে গভর্নর স্যারের সঙ্গে আমাদের আর কোনো আলোচনা হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি মাসেও পরীক্ষা নিয়ে আলোচনার কোনো সম্ভাবনা নেই। ফলে আগামী মার্চে এ পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব হবে কিনা সেটিও নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করবো মার্চের পর পরীক্ষা নিয়ে নেয়ার। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষা এর মধ্যে শুরু হলে এটি আরও পিছিয়ে যেতে পারে।’
এর আগে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর সমন্বিত সাত ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে লিখিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেছিল বিএসসি। তবে দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পরীক্ষা স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ। গত বছরের ২৮ নভেম্বর পরীক্ষা স্থগিত করে বিজ্ঞপ্তি দেয় বিএসসি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৯ নভেম্বর সাত ব্যাংকের ৭৭১টি সিনিয়র অফিসার পদের পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি (বিএসসি)। আর ২৩ নভেম্বর নিয়োগ পরীক্ষার কেন্দ্র ও আসন বিন্যাস প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৭৭১টি পদে এক লাখ ৪০ হাজার ১৫৫ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেবেন।
সমন্বিত সাতটি ব্যাংকের নাম ও শূন্য পদের সংখ্যা: সোনালী ব্যাংক লিমিটেড-২৬৪টি, জনতা ব্যাংক লিমিটেড-১৩৯টি, রূপালী ব্যাংক লিমিটেড-২১১টি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক-১১৩টি, বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন-আটটি, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ-৩০টি, কর্মসংস্থান ব্যাংক-ছয়টি। সমন্বিতভাবে এ সাতটি ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মোট ৭৭১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।