১৩ নভেম্বর ২০২০, ১২:৪৩

নানান বাধা অতিক্রম করে উদ্যোক্তা হওয়ার পথে ঢাবি ছাত্রী আশা

  © টিডিসি ফটো

“পণ্যগুলো নকল নাকি আসল-এ নিয়ে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। তাছাড়া পরিবারিক বাঁধাতো প্রতিনিয়তই রয়েছে। তাই উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে পথ চলতে হলে ধৈর্যকে অন্যতম একটি গুণে পরিণত করতে হবে। ধৈর্য্য হচ্ছে এখানে সফল হওয়ার অন্যতম মূলনীতি।”

এভাবেই একজন উদ্যোক্তার পথচলার চিত্রায়ণ করেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী আয়শা সিদ্দিকা আশা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে পড়ছেন ২০১৬-১৭ সেশনের এই ছাত্রী।

উদ্যোক্তা হওয়ার আগ্রহ কিভাবে তৈরি হলো— এই প্রশ্নের জবাবে আশা জানান, করোনাকালে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় বেকার বসে না থেকে কিছু করতে চাওয়া থেকে শুরু। এরপর বন্ধুদের সাথে বিষয়টি শেয়ার করার পর থেকেই পথচলা শুরু।

গত জুলাই মাস থেকে Ayba Layout-নামক ফেসবুক পেজ থেকে ইম্পোরটেড লেডিস ব্যাগ, জুতা আর মেডিকেল ইকুইপমেন্ট দিয়ে ই-কমার্স প্লাটফর্ম যাত্রা শুরু করেন ঢাবির এই ছাত্রী। বর্তমানে ইন্ডিয়ান-পাকিস্তানী ড্রেস ও শাড়ি নিয়ে কাজ করছে। কিছুদিন আগে পেজে ওটস্ আনার পর অনেক সাড়া পেয়েছি। তখন ওটস্ আপা নামও পেয়েছি।

পণ্য ডেলিভারি দিতে গিয়ে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়। আশার ক্ষেত্রেও সেটি ব্যতিক্রম নয়। তিনি জানান, শুরু দিকে ডেলভারি নিয়ে সমস্যায় ভুগতে হয়েছে। তবে এখন কোন সমস্যা হচ্ছে না। আলাদীনের প্রদীপ ওয়েবসাইটে শপ রেজিস্ট্রেশন করার পর, ওরাই নিজ দায়িত্বে এসে পার্সেল পিক করে কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। এজন্য আলাদীনের প্রদীপকে ধন্যবাদ।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা Ayba Layout-কে একটি ব্যান্ড হিসেবে দাঁড় করানোই তার লক্ষ্য। তার মতে, পণ্যের Diversification ব্যবসাকে লসের হাত থেকে রক্ষা করে। তাই diversity নিয়েই এগোতে চাই।

ক্যারিয়ার হিসেবে ই-কমার্স বিজনেসকে বেচে নেয়া হবে কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে আশা বলেন, এই কাজের প্রতি এখন ভালোবাসা এসে গেছে তাই এটাকে ছাড়তে চাই না। তবে আব্বু আম্মুর ইচ্ছাও পূরণ করতে হবে। তারা চান আমি চাকরি করি। তাই দুইটাই একসাথে চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো। জানি কঠিন হবে, তাও চেষ্টা করলে সবই সম্ভব বলে মনে করি আমি।

নানা প্রতিকূলতাকে জয় করে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার ভূমিকায় নিজেদের দাঁড় করিয়েছেন অনেক শিক্ষার্থী। তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ধৈর্য্য হচ্ছে ব্যবসায়ে সফল হওয়ার অন্যতম মূলনীতি। শুরু ব্যর্থতায় হতাশ হয়ে গেলে কখনোই সফল হওয়া যায় না। তাই ধৈর্যকে আপনার অন্যতম একটি গুণে পরিণত করতে হবে। আর নিজের পরিচিতি বাড়াতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এজন্য শুধু একটা পেজ খুলে বসে থাকলেই হবে না। যেমন-আমরা আমাদের নিজেদের এবং আমাদের পণ্যের ব্রান্ডিং এর জন্য ঢাবিয়ান বিজনেস কমিউনিটি, ক্যাম্পাসিয়ান বিজনেস নেটওয়ার্ক ইত্যাদি গ্রুপকে মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছি। প্রতিনিয়ত এ ধরণের গ্রুপে ব্রান্ডিং চালিয়ে যেতে হবে। একটু আলসেমি আপনাকে পিছনে ফেলে দিবে।