প্রবাসী আন্দোলনে নুরদের উস্কানি, ফেসবুকে প্রামাণ দিলেন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরদের সংগঠন প্রবাসী অধিকার পরিষদের বিরুদ্ধে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগ করেছে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
আজ বৃহস্পতিবার রাতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, যেহেতু অস্বীকার করা হয়েছে তাই প্রমাণগুলো দিতে বাধ্য হলাম।
ফেসবুক পোস্টে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগরের সাবেক সমন্বয়ক মো. নাজমুল করিম রিটুর স্বাক্ষর করা একটি আবেদন পত্রের সঙ্গে সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ও তার ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘ছবিতে মো. নাজমুল করিম রিটু (স্বাক্ষরকারী) এবং তার নেতা’।
‘‘ভবিষ্যতে এইরকম দেশ বিরোধী বা বিদেশে প্রিয় বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করে এরকম কর্মকাণ্ড থেকে তাদের সরে আসার জন্য বলছি। আর প্রবাসীরা দয়া করে মিথ্যা প্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না, আপনাদের কষ্টার্জিত বর্তমান এবং যে ভবিষ্যতের স্বপ্ন আপনারা দেখেন তা নিশ্চিত করতে নিয়ম এবং বাস্তবতা মেনে চলুন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা নিজে এবং ওনার সরকার আপনাদের সাথে আছে’’।
তবে অভিযোগের বিষয়ে নুর বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রপ্রতিনিধি, ছাত্রনেতা। আমি একটা সংগঠন করি বা সংগঠনের সঙ্গে আছি। আমার এত পাওয়ার (ক্ষমতা) যে আমার কথায় বা আমি উসকানি দিলেই বাংলাদেশ নড়াচড়া শুরু করবে, বিশ্বের প্রবাসীরা নড়াচড়া শুরু করবে? তাহলে উনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ছেড়ে আমাকে দিন। কারা কারা উসকানি দিচ্ছে, সেটা আমি দেখি।
এদিকে গত ২২ সেপ্টেম্বর (সোমবার) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে অবস্থিত সৌদি এয়ারলাইন্সের অফিসের সামনে কারওয়ান বাজার মোড়ে বিক্ষোভ করছেন সৌদি প্রবাসীরা। ফ্লাইটের টিকিট না পেয়ে বিক্ষুব্ধ সৌদিপ্রবাসীদের সড়ক অবরোধ ও মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের নেপথ্যে তৃতীয় পক্ষের উসকানি ছিল বলে আশঙ্কা সরকারের।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, অবৈধ কর্মীদের ফেরাতে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে ফ্লাইট ভাড়া দেওয়ার কোনো বিধান বাংলাদেশে নেই। প্রত্যাবাসন ফ্লাইটগুলোর যাত্রীরা ফেরার খরচ নিজেরাই বহন করে। অন্যদিকে শ্রমিকদের বহনকারী ফ্লাইটের ভাড়া দেয় তাদের নিয়োগকারী সরকার। ভিয়েতনামে ‘ভিজিটর’ হিসেবে ঘুরতে যাওয়া ওই ২৭ জন দুই ক্যাটাগরির কোনোটাতেই পড়েন না।
এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সোমবার এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, মানবপাচারী চক্রের সহযোগীতায় ভিয়েতনামে যাওয়া পাসপোর্ট ও পরিচয়পত্রবিহীন এক দল বাংলাদেশি সরকারি খরচে দেশে ফেরানোর দাবি তুলেছেন। তারা গত সপ্তাহে হ্যানয়ে বাংলাদেশ মিশন ‘দখল’ করে নিয়েছিলেন। এখন তারা ভিডিওর মাধ্যমে হুমকি দিচ্ছেন, তাদের দাবি পূরণ না হলে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে তারা আক্রমণ করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এর পেছনে ভিপি নুরকে দায়ী করেছেন।