লকডাউনে চাকরি হারিয়ে কলা বিক্রি করছেন স্কুলশিক্ষক
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের হাইস্কুলে টানা ১৫ বছর ধরে তেলেগু শিখিয়েছেন শিক্ষক ভেঙ্কট সুব্বাইয়া। করোনা-কালে লকডাউন শুরু হওয়ার পরও নেল্লোরের নারায়ণা স্কুলে গিয়ে ছাত্রদের পড়ানোর কাজ বন্ধ করেননি তিনি। বাড়ি বসেই অনলাইন ক্লাস করিয়েছেন।
এদিকে ছেলের পড়াশোনার জন্য ব্যাক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন, সেই এক বাড়তি বোঝা! বাধ্য হয়েই পেটের দায়ে কলা বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই শিক্ষক। কলা বিক্রি করে দিনে ২০০ টাকা মতো রোজগার হয় এখন তাঁর।
শেষ তিন সপ্তাহ ধরে রাস্তায় ঠেলাগাড়িতে কলা বিক্রি করছেন তিনি। কারণ, করোনা-কালে চাকরি হারিয়েছেন ওই শিক্ষক। যদিও প্রিয় শিক্ষকের এমন অবস্থার কথা শুনে চুপ থাকেননি প্রাক্তন ছাত্ররা।
পাঁচ-ছয় বছর টানা যে শিক্ষকের কাছে পড়াশোনা শেখা, তিনিই যখন এমন দুর্দশার শিকার তখন তাঁর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছেন প্রিয় ছাত্ররা। প্রায় ১৫০ জনের একটি দল ক্যাম্পেইন করে শিক্ষকের জন্য তহবিল তৈরি করেছেন। তাতে জমা পড়েছে প্রায় ৮৬ হাজার ৩০০ টাকা।
তেলেগুর পাশাপাশি সংস্কৃতেও দারুণ পারদর্শী ভেঙ্কট সুব্বাইয়া। কিন্তু লকডাউনের বাজারে চাকরি চলে যাওয়ার পর ভয়ংকর বিপদের মধ্যে পড়েন তিনি। তাহলে এখন সংসার চালাতে উপায়? ৪৩ বছরের ওই শিক্ষক নেল্লোরের রাস্তায় রাস্তায় কলা বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন।
শিক্ষক ভেঙ্কট সুব্বাইয়া জানান, লকডাউনে চাকরি গেছে। তাই এমন পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই কলা বিক্রি করে দিন কাটানো সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি। আমার এক প্রাক্তন ছাত্রের বাবা আমাকে ভীষণ সাহায্য করেছেন। তবে এখন আশা দেখেন তিনি, এ দুঃসময় কাটিয়ে ফের একদিন শিক্ষার জগতে ফিরে যাবেন তিনি।