২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:৩০

পে স্কেল আদায়ে জানুয়ারির শুরুতেই কর্মসূচি আসছে

সরকারি লোগো  © সংগৃহীত

সরকারি চাকরিজীবীদের বৈষম্য নিরসন ও সুযোগ সুবিধা বাড়াতে গেল জুলাইয়ে পে কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। ছয় মাসের মধ্যে সুপারিশ দেয়ার বাধ্যবাধকতা রেখে প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়। কিছুদিন পরে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এই সরকারের সময়েই নবম পে স্কেল বাস্তবায়নের ইঙ্গিত দেন।

কিন্তু নভেম্বর মাসে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সরকারি কর্মচারীদের নতুন পে কমিশনের সিদ্ধান্ত নেবে আগামী সরকার। এরপরই কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। পরে ৩০ নভেম্বর মধ্যে সুপারিশ জমা দিতে কমিশনকে আল্টিমেটাম দেন কর্মচারী নেতারা। তবে এখন পর্যন্ত নবম পে স্কেলের সুপারিশ দাখিল করেনি কমিশন। পাশাপাশি গত ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নবম পে স্কেলের গেজেট প্রকাশের দাবি করেছিলেন কর্মচারীরা, তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোন বার্তা আসেনি। 

এদিকে দাবি আদায়ে আন্দোলনে নামছেন কর্মচারীরা। মূলত গেল ২০ ডিসেম্বর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন কর্মচারী নেতারা। তবে শহীদ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর কর্মসূচি ঘোষণা স্থগিত করেন তারা। আগামীকাল শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন কর্মচারীরা।

কর্মচারী সংগঠনের একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, নতুন বছরের শুরুতেই আমাদের কর্মসূচি আসবে। এক্ষেত্রে প্রতীকী অনশন, সমাবেশ, মহাসমাবেশ এমনকি দৈনিক ১-২ ঘণ্টার কর্মবিরতিও আসতে পারে। কর্মসূচি অনুযায়ী নির্দিষ্ট তারিখ সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে।

এর আগে সরকারি চাকরিজীবী বিধিমালা ও শৃঙ্খলা বহির্ভূত কোন কর্মসূচি দেয়া হবে না বলে জানায় বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ। দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে পরিষদের সভাপতি ওয়ারেছ আলী জানান, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে আমরা ইচ্ছেমতো কর্মসূচি দিতে পারি না। আমরা চাকরির বিধিমালা ও শৃঙ্খলার মধ্যে থেকেই কর্মসূচি দেবো। বিধিমালা বহির্ভূত কোন কর্মসূচি দেয়া হবে না।