‘কর্মসূচি বাস্তবায়নে কর্মচারীরা ওয়াদাবদ্ধ’
পে কমিশনকে সুপারিশ দাখিলের জন্য ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছেন সরকারি কর্মচারী নেতারা। এই সময়ের মধ্যে সুপারিশ না দিলে কঠোর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। দাবি আদায়ে কর্মচারীরা ওয়াদাবদ্ধ বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবির। সম্প্রতি দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের কর্মচারীরা আগে অর্গানাইজড ছিল না। এখন তারা মোর অর্গানাইজড। আগে বিভিন্ন গ্রুপিং থাকলেও এখন তারা দাবি আদায়ে আমার সাথে একাট্টা হয়েছে। সুপারিশ দাখিলের জন্য পে কমিশনকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। এটা অতিক্রম করলে আমরা নতুন কর্মসূচি দেব।
দাবি আদায়ে কী ধরনের কর্মসূচি দেওয়া হবে জানতে চাইলে এই কর্মচারী নেতা বলেন, পে স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে আগামী ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করা হবে। এর আগেও আমাদের কিছু কর্মসূচি আছে যেমন ২৬ নভেম্বর নেতাদের নিয়ে একটি কর্মসূচি আছে। এই নেতৃবৃন্দ সারা দেশে ম্যাসেজ পাঠাবে। এখানে সমন্বয়ক পরিষদ আছে, দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ আছে। কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য তারা আমার কাছে ওয়াদাবদ্ধ হয়েছেন। তারা আমাকে বলেছে, উই আর রেডি টু ইমপ্লিমেন্ট ইওর ডিসিশন।
তিনি বলেন, আমরা এমন কর্মসূচি বা হার্ড লাইনে যাব যে সিচুয়েশনে কমিশন বছরের কাজ সপ্তাহে করার জন্য দৌড়ঝাঁপ করবে। কিন্তু আমরা চাই না কমিশনের সদস্যরা এমন পরিস্থিতিতে পড়ুক। আমরা চাই অন্তত একটি সংক্ষিপ্ত রিপোর্ট হলেও কমিশন ৩০ নভেম্বরের মধ্যে তা দাখিল করুক। এরপর তারা ব্যাখ্যার জন্য সময় নেবে। কিন্তু রিপোর্ট তাদেরকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দাখিল করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এর বাইরে আমরা কিছু মানব না। যখন শাটডাউন আসবে, রেললাইন, নৌপথ, সড়ক পথ অবরোধ করা হবে তখন তারা সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের কাছে দায়বদ্ধ হবে। জনগণ বুঝবে যে তারা তাদের অবস্থান থেকে আন্তরিকতা প্রদর্শন করতে পারেনি।
উল্লেখ্য, সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় জাতীয় বেতন কমিশনের সম্মেলন কক্ষে নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবদের সঙ্গে পে কমিশনের সদস্যদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভা শেষে কমিশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। তবে সব সচিব সভায় উপস্থিত হননি। পরবর্তীতে সচিবদের নিয়ে আবারও আলোচনা হবে।’ কবে নাগাদ সুপারিশ হতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, ‘আলোচনা শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যেই রিপোর্ট জমা দিতে পারব বলে আশা করছি।’