হতাশা বৃদ্ধির ১০ কারণ
হতাশা এখন মানুষের জন্য বড় একটি সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। এতে সবক্ষেত্রেই নানা ধরণের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। হতাশা চরম পর্যায়ে গেলে আত্মহত্যার পথ পর্যন্ত বেছে নিচ্ছেন অনেকে। হতাশা বাড়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ দায়ী বলে মনে করা হয়। এগুলো দূর করতে পারলে হতাশ হওয়ার সুযোগ নেই।
একাকিত্বকে হতাশার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে মনে করা হয়। এজন্য বন্ধু-বান্ধবসহ নিকটজনদের সাথে প্রচুর সময় কাটানো জরুরি। সামাজিকতা হতাশা মোচন করতে অনেক বেশি সহায়তা করে।
প্রযুক্তির উৎকর্ষের যুগে ঘুমহীনতা বড় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। অনেকে স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটারের সামনে রাতের বড় সময় ব্যয় করেন, যা হতাশার কারণ হয়ে দাড়ায়। এ কারণে রাতে পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি।
আরও অনেক কিছুর ন্যায় অর্থহীনতাও হতাশার অন্যতম কারণ। প্রয়োজনের সময়ে অর্থ না পেলে তা দুঃখ-দুর্দশা বৃদ্ধি করে। এ দুই কারণে হতাশাও বাড়ে। এজন্য ভালো সময়ে অর্থ সঞ্চয় গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজনীয় সময়ে সেগুলো কাজে লাগানো যায়।
সামাজিক বিষয়াদির সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক পরিশ্রমও হতাশার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ব্যায়ামের অভাব হতাশার অন্যতম কারণ। এজন্য প্রাকৃতিক পরিবেশে অন্তত ২০-৩০ মিনিট হাঁটুন। হতাশা কাটাতে এর ভূমিকা রয়েছে।
এছাড়া নিজের মনের প্রতি অবহেলা হতাশা নিয়ে আসে। এজন্য নিজেকে ভালবাসতে শিখুন। এতে হতাশা কেটে যাবে।
হতাশার রোগীদের ক্ষেত্রে ইকোথেরাপি বা ‘গ্রিন থেরাপি’ চিকিৎসা পদ্ধতি বেশ কার্যকর। প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে সংস্পর্শহীনতা হতাশার অন্যতম কারণ। এজন্য পরিবেশের সান্নিধ্যে থাকুন। প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরে বেড়ানো একটি রুটিনে পরিণত করা হতাশা কাটানোর ভালো উপায় হতে পারে।
ভিটামিন ‘বি’ ও ভিটামিন ‘ডি’ শরীরে ঘাটতি থাকলে তা হতাশা বাড়ায়। এজন্য দুর্বল খাদ্য তালিকা দায়ী। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার হতাশা কাটাতে সহায়তা করে।
বেশি চাপ নিলেও তা হতাশা তৈরি করে। এজন্য সব কাজ ভালোভাবে পরিকল্পনা করে করা জরুরি। এতে চাপ কম থাকবে, হতাশাও কমে আসবে।
ইস্ট্রোজেন প্রজেস্টেরন ও কর্টিসোল ইত্যাদি হরমোনের ভারসাম্যহীনতায় হতাশা আসতে পারে। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।