নিঃসঙ্গতা কাটাতে পোষা প্রাণীর চাহিদা বাড়ছে
আধুনিকায়নের সাথে তাল মিলিয়ে একান্নবর্তী পরিবারগুলো ভেঙে ক্রমেই তৈরি হচ্ছে ছোট পরিবার। বাড়ছে কাজের চাপ, সেই সঙ্গে নিঃসঙ্গতা। আর এই নিঃসঙ্গতা কাটাতে বাড়ছে পোষা প্রাণী পালন। অন্যদিকে দেশে সরকারি চিকিৎসক কম থাকায় ক্রমবর্ধমান এই পোষা প্রাণীর চিকিৎসা বেসরকারি চিকিৎসক হয়ে পড়ছে।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) অনুষ্ঠিত চতুর্থ জাতীয় ডিভিএম ইন্টার্ন গবেষণা সম্মেলনে ‘বেসরকারি ক্ষেত্রে পোষা প্রাণীর চিকিৎসা: সমস্যা ও সম্ভাবনা' শীর্ষক প্রবন্ধে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন এন্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের চেয়ারম্যান ও পোষা প্রাণিচিকিৎসক ড. কে বি এম সাইফুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
প্রবন্ধে তিনি জানান, পোষা প্রাণীর চিকিৎসা ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা এখনো অপ্রতুল। বিশেষ করে এসব প্রাণীর চিকিৎসার জন্য সরকারিভাবে রোগ নির্ণয় করার সুযোগ থাকলেও সেখানে দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। অন্যদিকে বেসরকারিভাবে তা নেই বললেই চলে। তাই অনেক ক্ষেত্রেই রোগ নির্ণয় করা কঠিন হয়ে পড়ে। এজন্য দক্ষ জনবল বৃদ্ধির পাশাপাশি রোগ নির্ণয়ে গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা ও প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার প্রতি জোর দিতে হবে। তবেই তাহলে প্রাইভেট প্র্যাকটিশনার কিংবা চিকিৎসকরা যথাযথভাবে চিকিৎসা দিতে সক্ষম হবেন।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ড. কে বি এম সাইফুল ইসলাম
ড. সাইফুল বলেন, ‘পোষা প্রাণী পরিবারের সদস্যদের মতোই। পরিবারের কারও অসুখ হলে আমরা যেমন দুশ্চিন্তায় পড়ি। তেমনি পোষা বিড়াল, কুকুর কিংবা অন্য কোনো প্রাণীর চিকিৎসা আমাদের ভাবিয়ে তোলে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রইছুল আলম মন্ডল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. মো. ইসমাইল খান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. হিরেশ রঞ্জন ভৌমিক, সিভাসুর প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য নীতীশ চন্দ্র দেবনাথ, ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আবদুল হালিম, যুক্তরাষ্ট্রের টাফ্টস ইউনিভার্সিটির শিক্ষক গ্রেগোরি এম. উলফাস। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিভাসুর বহিরাঙ্গন কার্যক্রম পরিচালক অধ্যাপক এ কে এম সাইফুদ্দীন।