কোটা বাতিলের সুপারিশ করল সংস্কার কমিটি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০২:৪৭ PM , আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০১:০৩ PM
সরকার গঠিত কোটা সংস্কার কমিটি ৯ম থেকে ১৩তম শ্রেণীর সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি তুলে দেওয়ার সুপারিশ করেছে । সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি।
সোমবার সকালে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা, সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে করা কমিটির প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ৯ম থেকে ১৩ তম গ্রেডের (যা আগের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি) সরকারি চাকরিতে কোনো কোটা না রাখার সুপারিশ করেছে সরকার গঠিত কমিটি। এ-সংক্রান্ত কমিটির প্রতিবেদন সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমা দিয়েছে কমিটি। কমিটি নবম থেকে ১৩ তম গ্রেডের সব পদে মেধা ভিত্তিতে নিয়োগের সুপারিশ করেছে।
মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ বিষয়ে আইন বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন এটা যেহেতু সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়, এটা আদালতের রায়কে স্পর্শ করবে না, কোনো সমস্যা হবে না। মানে কোনো কোটাই থাকবে না।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের কোটার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে শফিউল আলম বলেন, ‘আমরা এগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখেছি। দেখেই বলেছি, এখন কোটা না থাকলেও চলতে পারবে।’ নিচের পদের কোটার তিনি বলেন, নিচেরগুলো আগে যা ছিল তাই, এগুলো তাদের কর্মপরিধিতেও ছিল না।
পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে। পরবর্তী মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়তো আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে হবে। মন্ত্রিসভা পাস করলে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।
৪০ তম বিসিএসে নতুন এই ব্যবস্থা কার্যকর হবে কি না জানতে চাইলে শফিউল আলম বলেন, এতে (বিজ্ঞপ্তি) বলা আছে, সরকার যদি ভিন্নরূপ কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, সে অনুযায়ী কোটা থাকবে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৫৫ শতাংশ নিয়োগ হয় অগ্রাধিকার কোটায়। বাকি ৪৫ শতাংশ নিয়োগ হয় মেধা কোটায়। সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান এই কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ২ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে সরকার। কমিটিতে সদস্য ছিলেন ছয়জন সচিব। ওই কমিটি কোটা সংস্কার নিয়ে বিভিন্ন দেশের অনুসৃত পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করে। অবশেষে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি না রাখার সুপারিশ করে।