যেখান থেকে শুরু সেখানেই শেষ রফিকুলের ২৯ বছরের কর্মজীবন
- ভোলা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩ PM , আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৫ PM
১৯৯৪ সালে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি শুরু করেন মো. রফিকুল ইসলাম। তার প্রথম কর্মস্থল ছিল দ্বীপ জেলা ভোলার লালমোহন উপজেলা। এরপর পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করেছেন ভোলার বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান ও মনপুরা উপজেলায়।
তবে তার কর্ম জীবনের অধিকাংশ সময় কেটেছে লালমোহন উপজেলায়। সে সুবাদে এখানকার শিক্ষক-শিক্ষার্থী থেকে সাধারণ মানুষ—সব শ্রেণির মানুষের সঙ্গেই তার সৃষ্টি হয় আন্তরিকতার সম্পর্ক। সদা হাস্যোজ্জ্বল ব্যবহারে আপনজনে পরিণত হয়েছেন স্থানীয় অনেকের।
গত বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) তিনি তার দীর্ঘ কর্মজীবনের ইতি টেনেছেন। সর্বমোট ২৯ বছর ৩ মাস মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মো. রফিকুল ইসলাম। লালমোহন উপজেলায় প্রথম চাকরি, এই উপজেলা থেকেই তিনি গিয়েছেন অবসরে।
রফিকুল ইসলামের বর্ণাঢ্য কর্মজীবন নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রথম যখন লালমোহন উপজেলায় চাকরি শুরু করি, তখন এই উপজেলায় শিক্ষার হার ছিল ৩৭ শতাংশ। আর বিদায় বেলায় এটি উন্নতি হয়ে হয়েছে ৭৫ শতাংশ। নিজের কর্মজীবনের পুরো সময় শিক্ষার মানোন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করেছি।
তিনি বলেন, ‘‘যেখানেই দায়িত্ব পালন করেছি, সেখানেই চেষ্টা করেছি শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়নের। এজন্য নিজের সাধ্যের মধ্যে থেকে যতটুকু সম্ভব ততটুকু উজাড় করে কাজ করেছি।’’
রফিকুল ইসলাম বলেন, ১৯৯৪ সালে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে লালমোহন উপজেলায় যোগদানের মাধ্যমে চাকরি শুরু করি। এরপর নিয়মানুযায়ী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় চাকরি করতে হয়েছে। ভাগ্য বলে কথা; লালমোহন উপজেলায় প্রথম চাকরি শুরু, সেখান থেকেই চাকরি শেষ করতে হয়েছে।
সবসময় নিজের দায়িত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, দীর্ঘ ২৯ বছর তিন মাস চাকরি করেছি। এই সুবাদে অনেকের সঙ্গে সম্পর্ক হয়েছে। সব সময় চেষ্টা করেছি নিজের দায়িত্বে অটুট থেকে কাজ করতে। নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে অর্পিত দায়িত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম। চাকরির সময়সীমা শেষ হওয়ায় যেতে হয়েছে পিআরএলে। বাকি জীবন কাটবে অবসরে।
আশ্রাফনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান কামরুল জানান, রফিকুল ইসলাম স্যার শিক্ষকদের প্রতি সব সময় আন্তরিক ছিলেন। কোনো শিক্ষক কখনো কোনো ভুল করলে তাকে শুধরে দিয়ে ভালো পরামর্শ দিতেন। তিনি লালমোহনের শিক্ষা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তার জন্য দোয়া করি, তিনি যেন বাকি জীবন সুন্দরভাবে কাটাতে পারেন।
লালমোহন করিমুন্নেসা-হাফিজ মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান লিপু বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম একজন ভালো মানুষ। তিনি সব সময় শিক্ষকসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আন্তরিক ব্যবহার করতেন। দীর্ঘ বছর চাকরি শেষে তাকে অবসরে যেতে হয়েছে। আগামী দিনগুলো তার সুন্দরভাবে কাটুক এই প্রত্যাশাই করি।