আসছে নতুন নীতিমালা
যেকোনো সময় সরকারি চাকরিজীবীদের মাদক পরীক্ষা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:০৭ PM , আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:১২ PM
শুধু চাকরিতে প্রবেশের সময় নয়, সন্দেহ হলে যে কোনো সময় সরকারি চাকরিজীবীদের মাদক পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক।
আজ বুধবার (১৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১২তম সভা শেষে তিনি এ কথা জানান। একইসঙ্গে ডোপ টেস্টের (মাদকাসক্ত শনাক্তকরণ পরীক্ষা) নাম বদলে ‘ড্রাগ অ্যাবিউজ টেস্ট’ হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, মাদক নেওয়ার ৭২ ঘণ্টা পার হলে ডোপ টেস্টে আর শনাক্ত করা যায় না। সেজন্য এই পরিকল্পনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক মাদক। এটা জাতির জন্য খুবই অ্যালার্মিং। বিশেষ করে যুবসমাজ, খুব গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তারা এদিকে ঝুঁকে পড়ছে। মাদক দমনে নেশার দ্রব্য যাতে দেশে না আসে সেজন্য আরও বেশি সচেতন ও তৎপর হওয়ার জন্য, যেসব রুটগুলো দিয়ে এসব আসে সেই রুটগুলো বন্ধ করার জন্য কমিটি নির্দেশনা দিয়েছে। একইসঙ্গে অভিভাবকদের কাছে আবেদন থাকবে তাদের সন্তানরা কি করেন, সেই ব্যাপারে তারা যেন সচেতন থাকেন। মসজিদসহ ধর্মীয় উপাসনালয় থেকেও মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা যায়, সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত ছিল চাকরিতে ডোপ টেস্ট হবে। তবে একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে ৭২ ঘণ্টা পরে এটা পরীক্ষা করলে বোঝা যায় না। সেজন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে চাকরিরত যারা আছেন যেকোনো সময় সন্দেহ হলে ডোপ টেস্ট করা হবে। টেস্টের নামটিও পরিবর্তন করা হচ্ছে। ড্রাগ অ্যাবিউজ টেস্ট নাম দেওয়া হবে। এজন্য নতুন নীতিমালা তৈরি করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের বড় সমস্যা হচ্ছে সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ। বিশ্বের তুলনায় আমরা মনে করি ভালো অবস্থানে আছি। মুসলিম অধ্যুষিত অন্যান্য দেশে যেভাবে জঙ্গিবাদের উত্থান আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেই জঙ্গিবাদকে পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে। হলি আর্টিজানের ঘটনার পর এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ভবিষ্যতেও যাতে না ঘটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর আছে। জনগণও চায় না এমন ঘটনা আর ঘটুক।
তিনি বলেন, এখন নির্বাচনের সময়, পত্র-পত্রিকায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে বাইরে থেকে অস্ত্র আসতে পারে। সেজন্য আমরা বিজিবিসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছি, হুন্ডি ব্যবসার কারণে দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে। এ ব্যবসা বন্ধ করার জন্য আরও তৎপর হওয়া এবং কীভাবে বন্ধ করা যায় সেই বিষয়ে আমরা বলেছি। জুয়ার মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার হচ্ছে। পত্রিকায় যেসব তথ্য এসেছে সেই আলোকে যে অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।