২৯ জুলাই ২০১৮, ১৪:৫৬

তরুণরাই ভবিষ্যত, হতে হবে উদ্যোক্তা

অতিথিদের সঙ্গে রয়েল সিমেন্ট-দৃষ্টি বিজনেস আইডিয়া কনটেস্টের বিজয়ীরা  © সংগৃহীত

সংগীত শিল্পী ও নেসলে বাংলাদেশের করপোরেট অ্যাফেয়ার ডিরেক্টর নাকিব খান বলেছেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যত তরুণদের হাতে। তাদের হাত ধরে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। এজন্য তরুণদের চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।  

চট্টগ্রামে আজ এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।  এতে রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি আর কক্সবাজারসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের নানা দিক তুলে ধরে নতুন ব্যবসার ধারণা দিয়ে রয়েল সিমেন্ট-দৃষ্টি বিজনেস আইডিয়া কনটেস্টে শিরোপা জিতে নিয়েছে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির তিন প্রতিযোগী।   

একটি মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা কীভাবে চট্টগ্রামের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানতে পারবেন, কোথায় কী খাবার মিলবে, কোথায় গেলে শোনা যাবে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান-এমন সব সেবা পাওয়া যাবে তাদের উদ্ভাবিত অ্যাপসে।

এ ছাড়া চট্টগ্রামের সাম্পান, পর্যটন শিল্প নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাবসায়িক ধারণা দিয়ে রানারআপ হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগ। তৃতীয় ও চতুর্থ হয়েছে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।

এ চার দলসহ ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০টি দল অংশ অংশ নিয়েছে দুই সপ্তাহব্যাপী এ প্রতিযোগিতায়। 

এবার বিচারক ছিলেন সংগীত শিল্পী ও নেসলে বাংলাদেশের করপোরেট অ্যাফেয়ার ডিরেক্টর নাকিব খান, পিএইচপি ফ্যামিলির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন, দৈনিক আজাদীর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক, সিটি ব্যাংকের নির্বাহী সহ-সভাপতি কায়েস চৌধুরী, ইস্পাহানি গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) সাব্বির আহমেদ এবং চিটাগাং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ নুরুল আবসার।

নগরের পেনিনসুলা হোটেলে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতার ফাইনালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পপতি আলী হোসেন আকবর আলী বলেন, শুধু সার্টিফিকেট অর্জন করে কাঙ্ক্ষিত চাকরি পাওয়া যায় না, এজন্য নিজেদের প্রতিভাকে শাণিত করতে হবে।

তিনি বলেন, সফল হওয়ার কোনো সহজ রাস্তা নেই। বড় হতে হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।

নকিব খান বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যত তরুণদের হাতে, তাদের হাত ধরে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে।

তিনি তরুণদের চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ দেন। ওয়াহিদ মালেক সুন্দর চট্টগ্রাম বিনির্মাণের জন্য সম্মিলিত কর্মপন্থা নির্ধারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তরুণদের সবসময় ভালো সঙ্গ, ভালো করার আহ্বান জানান তিনি। সানসাইন গ্রামার স্কুলের অধ্যক্ষ সাফিয়া গাজী রহমান বলেন, আমাদের তরুণদের অনেক প্রতিভা আছে, কিন্তু সেই প্রতিভাকে শাণিত করতে চিন্তাশক্তি প্রসারিত করতে হবে।

দৃষ্টি চট্টগ্রামের সভাপতি মাসুদ বকুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আদনান মান্নান, রয়েল সিমেন্টের চিফ কমিউনিকেশন অফিসার প্রকৌশলী ফয়সাল নাসির খান, হেড অব করপোরেট সেলস এসএম মাসুদুর রহমান, দৃষ্টি চট্টগ্রামের সহ-সভাপতি সাইফ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সাবের শাহ, যুগ্ম সম্পাদক মুজিবুর রহমান মনি ও জুনায়েদ কৌশিক চৌধুরী।

মাসুদ বকুল বলেন, তরুণদের মধ্যে শিক্ষাজীবন থেকেই উদ্যোক্তা হওয়ার মানসিকতা তৈরির লক্ষ্যে প্রতিবছর এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে দৃষ্টি চট্টগ্রাম। তাহলে বেসরকারি খাতে বেশি সংখ্যক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে যা দেশের বেকার সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ব্যবসা পরিকল্পনা, প্রসার-প্রচার এবং ব্র্যান্ডিং সংক্রান্ত এটি চট্টগ্রামের একমাত্র আয়োজন যা বিগত ৮ বছর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।