তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে যাচ্ছেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা
- টিডিসি রিপোর্ট:
- প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০১৮, ১২:২১ PM , আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৮, ১২:৪১ PM
এবার তিনদফা দাবিতে আন্দোলনে যাচ্ছে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স সার্ভিস এসোসিয়েশন সমন্বয় পরিষদ। আগামীকাল বুধবার সকাল ১১টায় শিক্ষা ভবন চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসূচি রয়েছে তাদের। দাবি আদায়ে রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচি ঘোষণা করেন পরিষদের সমন্বয় সদস্য সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম।
১৩ দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে আরো থাকছে, ১৯ জুলাই ঢাকা ওয়াসা ভবন এবং ২২শে জুলাই সকাল ১১টায় ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও মিরপুরস্থ বিকেটিটিসি ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ সমাবেশ। ১৮ থেকে ২৮শে জুলাই নিজ নিজ সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ এবং সংস্থা প্রধানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি দেয়া, ১৮ থেকে ২৬শে জুলাই আইডিইবি’র সকল জেলা কমিটির উদ্যোগে যে কোন ১ দিন প্রতিবাদ সমাবেশ, ২৯শে জুলাই প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন শেষে স্মারকলিপি, ৩০ ও ৩১শে জুলাই যে কোনো ১দিন সকল জেলায় বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে স্মারকলিপি দেয়া হবে।
এরমধ্যে দাবি-দাওয়া আদায় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা। দাবিগুলো হলো- প্রাথমিক নিযুক্তিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের একটি স্পেশাল ইনক্রিমেন্ট, ডিজাইন ও প্লানিংয়ে কমর্রত উপ-সহকারী প্রকৌশলীদের ৩টি স্পেশাল ইনক্রিমেন্ট, পদোন্নতির কোটা ৫০ শতাংশ উন্নীত করা, আন্তর্জাতিক ইঞ্জিনিয়ারিং টিম ধারণা অনুযায়ী ডিগ্রি ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ১:৫ অনুপাতে নিয়োগের বিধান রেখে সকল সংস্থায় অর্গানোগ্রাম প্রণয়ন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোর্ড ২০১৫ ও ঢাকা ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-২০০৮ সংশোধনপূর্বক গেজেট পাস, দেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টিএসসি’র শিক্ষক স্বল্পতা নিরসন করা, ডিপ্লোমা থেকে পাস করা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টিএসসিতে ব্যবহারিক ক্লাসের জন্য ল্যাব/ওয়ার্কশপ স্থাপন ইত্যাদি।
কর্মসূচি ঘোষণার প্রাক্কালে সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের নেতারা জানান, ২০১৬ সালে জাতীয় সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-২০০৮ সংশোধনসহ ডিপ্লামা ইঞ্জিনিয়ারদের পেশাগত সমস্যা সমাধানে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দেন। দীর্ঘদিন কেটে গেলেও বিধিমালা আলোর মুখ দেখেনি। দাবি মানা না হলে সার্ভিস বন্ধসহ আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিষদের নেতারা।