৩৫ আন্দোলনকারীরা কীভাবে আমাকে অসুস্থ বলেন, প্রশ্ন মুক্তার
চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম থেকে বহিষ্কারের খবরে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক পদে থাকা মুক্তা সুলতানা। সম্প্রতি তিনি নিজের সার্টিফিকেট পুড়িয়ে সরকারি চাকরি পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। এরমধ্যে ৩৫ আন্দোলনের সংগঠন থেকেও তাকে বের করে দেয়া হয়েছে।
বহিষ্কারের খবরে এক প্রতিক্রিয়া মুক্তা বলেন, ‘‘আমাকে অসুস্থ-বিভ্রান্ত বলার সাহস এরা পায় কী করে? ফান্ডের টাকা ছাড়া যারা ঢাকায় থাকার মতো-খাওয়ার মতো অবস্থা নেই—সে আমাকে অসুস্থ-বিভ্রান্ত ট্যাগ দেয়! ট্যাগ দেয়ার আগে শতবার ভাববেন, আমি অন্তত নিজের টাকায় খাওয়া-পড়ার মানসিকতা রাখি, সাধারণ শিক্ষার্থী এবং বেকারের টাকায় নয়।’’
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ রাসেলের এক বিবৃতিতে মুক্তাকে বহিষ্কারের বিষয়টি জানান। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কমিটির সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ ব্যতীত শিক্ষার্থী সমাজের স্বার্থপরিপন্থী কাজ করায় এবং সংগঠনের সদস্যদের/সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিব্রত করায় মুক্তা সুলতানাকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হলো।
আরও পড়ুন: ৩৫ হাজার বেতনে চাকরি নেয়া মুক্তাকে ‘৩৫ আন্দোলন’ থেকে বহিষ্কার
এর আগে হতাশাগ্রস্ত হয়ে মুক্তা গত ২৩ মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ২৭ বছরে অর্জিত সব অ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলেন। লাইভের বিষয়টি গণমাধ্যমে তুলে ধরা হলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের দৃষ্টিগোচর হয়। পরে তিনি মুক্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তার দপ্তরে আসার জন্য অনুরোধ জানান।
পরে তার সঙ্গে আলোচনার পর প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তাকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব সিকিউরড ইমেইল ফর গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার’ প্রজেক্টে ‘কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল কমিউনিকেশন অফিসার’ পদে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন। যেখানে তার বেতন ৩৫ হাজার টাকা।