বিজয় ও স্বাধীনতা ভাতা চায় সচিবালয়ের কর্মচারীরা
- টিডিস রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:১৮ PM , আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:১৮ PM
২৫ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন শুরু করেছেন বাংলাদেশ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ইতোমধ্যেই ২৫ দফা দাবির সমর্থনে জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন তারা। সম্প্রতি বাংলাদেশ সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের মহাসচিব মোহম্মদ তোয়াহা স্বাক্ষরিত এক আবেদনপত্রে এই ২৫ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।
তাদের ২৫ দফা দাবি হচ্ছে—স্থায়ী পে-কমিশন গঠন করতে হবে এবং পে-কমিশনে কর্মচারী সংগঠনের প্রতিনিধি রাখতে হবে। নতুন পে-কমিশন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান করতে হবে। বেতন স্কেল ২০ ধাপ ভেঙে ১২ ধাপ বিশিষ্ট বেতন স্কেল প্রদান করতে হবে। বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ৫ শতাংশ এর স্থলে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করতে হবে। পূর্বের ন্যায় শতভাগ পেনশন প্রদানসহ ০১ টাকার বিনিময়ে ৫০০ টাকা গ্রাচ্যুইটি নির্ধারণপূর্বক পেনশন প্রদান করতে হবে। পূর্বের ন্যায় টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল করতে হবে।
এছাড়া পে-কমিশনে বাড়িভাড়া ৮০ শতাংশ, চিকিৎসা ভাতা ৫০০০ টাকা, শিক্ষাভাতা ৩০০০ টাকা, যাতায়াত ভাতা ২০০০ টাকা, টিফিনভাতা ৩০০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন পদে ১৪৫ হারে বেতন স্কেল নির্ধারণ করে বেতন বৈষম্য দূর করতে হবে। বৈশাখী ভাতা ১০০ শতাংশ করতে হবে এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ভাতা ও ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ভাতা প্রদান করতে হবে।
বাংলাদেশ সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ বলেছে, জাতীয় পে-স্কেল ২০১৫ বাস্তবায়নের পর তেল, গ্যাস বিদ্যুৎসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির ফলে সরকারি কর্মচারীরা আজ দিশেহারা হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। প্রতিটি পণ্যের মূল্য দুই থেকে তিন গুণ বৃদ্ধি পেলেও গত সাত বছর ধরে পে-স্কেল না দেওয়ায় সরকারি কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি পায়নি। তাই আগামী ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বাজেটে জাতীয় পে-স্কেলের পূর্বের ন্যায় কমিটি গঠন করে নতুন স্কেল কার্যক্রম চালু করাসহ এই ২৫ দফা দাবি পেশ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের মহাসচিব মোহাম্মদ তোয়াহা জানিয়েছেন, এটা কোনও আন্দোলন বা সংগ্রামও নয়। আমরা আমাদের দাবি উপস্থাপন করেছি মাত্র। এখন এগুলো কতটুকু বাস্তবায়নযোগ্য তা সরকারের বিষয়।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক সচিব আলী ইমাম মজুমদার জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের দাবি দাওয়া উপস্থাপন এবং এগুলো আদায়ের জন্য আন্দোলন অতীতেও হয়েছে। তবে এগুলোকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে প্রশাসনে অস্থিরতা বা সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে সরকারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সজাগ থাকতে হবে।