এমপিওভুক্তির দাবিতে অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের আমরণ অনশনের হুমকি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২২, ০২:২৬ PM , আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২২, ০২:২৬ PM
আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি না করলে আমরণ অনশনের হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন। আজ মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ হুমকি দেন ফেডারেশনের সভাপতি হারুন অর রশিদ।
সংবাদ সম্মেলনে হারুন অর রশিদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলন সংগ্রামের পরেও আমাদের দাবিটি উপেক্ষিত, মাত্র ৫ হাজার ৫০০ শিক্ষক এমপিওভুক্তির সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এ অবস্থায় আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুস্পষ্ট ঘোষণা দেওয়া না হলে আমরণ অনশনের মতো কঠোর আন্দোলনে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।
তিনি বলেন, বেসরকারি কলেজগুলোর বিধি অনুযায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত সারাদেশের ৫ হাজার ৫০০ জন অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষককে জনবলে অন্তর্ভুক্তি না থাকার অজুহাতে দীর্ঘ ২১ বছর ধরে সরকারি সুযোগ সুবিধার (এমপিও) বাইরে রাখা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ কলেজ কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেয় না।
তিনি আরও বলেন, একই প্রক্রিয়ায় নিয়োগ শেষে সদ্য জাতীয়করণ করা কলেজের অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষকরা ক্যাডার/নন-ক্যাডারভুক্ত হয়েছেন, ডিগ্রি, ৩য় শিক্ষকরা জনবলে না থাকার পরেও এমপিওভুক্ত হয়েছেন। অন্যদিকে কামিল (মাস্টার্স) শ্রেণির শিক্ষকরাও এমপিওভুক্ত হয়েছেন। অথচ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকরাও এনটিআরসিএ সনদধারী হলেও জনবল ও এমপিও নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত না থাকায় এমপিওভুক্ত হতে পারছেন না।
ভুক্তভোগী শিক্ষকরা জানান, দীর্ঘ ২৯ বছর থেকে পেশাগত দাবি আদায়ের জন্য অনেক শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার পরেও অদ্যবধি আমরা সরকারি বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত রয়েছি। সর্বজন স্বীকৃত সত্য যে,বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকারের মাধ্যমে শিক্ষা সেক্টরের অনেক বৈষম্য কমেছে কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে,উচ্চশিক্ষায় নিয়োজিত সারাদেশের মাত্র ৫ হাজার ৫০০ জন শিক্ষক এখনো এমপিওভুক্তির বাইরে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের একাধিক নির্দেশনা,শিক্ষামন্ত্রণালয় সম্পর্কিত নবম ও দশম সংসদের স্হায়ী কমিটির সুপারিশ এবং জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ এর অধ্যায়-০৮ -এ বর্ণিত উচ্চশিক্ষার কৌশল বাস্তবায়নের জন্য এই সকল শিক্ষকের এমপিওভুক্ত করা অত্যন্ত যৌক্তিক ছিলো। বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত ও কর্মরত ৫,৫০০ জন শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করতে প্রতিমাসে ১২ কোটি বছরে ১৪৪ কোটি টাকার বাজেটে ব্যয়বরাদ্দ হলেই আমাদের স্বপ্নপূরণ হয়;জনবল ও এমপিও নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়।