০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৬:৫৬

আইনে নিষিদ্ধ না হলেও শিক্ষার্থীদের রাজনীতি করতে দেই না: এপিইউবি

লোগো  © ফাইল ছবি

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন বলেছেন, আমরা শিক্ষার্থীদের রাজনীতি করতে বারণ করি এবং করতে দেই না। সেটা কোন আইনের মাধ্যমে না। আমরা ছাত্র ভর্তি হওয়ার সময় তাদেরকে বলি যে এটা অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান এবং ছাত্র রাজনীতি এখানে করা যাবে না।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছাত্রলীগের কমিটির বিষয়ে মঙ্গলবার (০৫ সেপ্টেম্বর) বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্প্রতি বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রায় ৪০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট, ইস্ট ওয়েস্ট, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এআইইউবি, ড্যাফোডিলের মতো বড় এবং নামী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও রয়েছে।

এছাড়া গত ৩ সেপ্টেম্বর সমন্বিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি সম্মেলনও করেছে সংগঠনটি।

আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসের ভেতরে নয়, বাইরে রাজনীতি করা যাবে: নর্থ সাউথ

কবির হোসেন বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়নি। কিন্তু আমরা একে সব সময় নিরুৎসাহিত করে এসেছি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা না করার সিদ্ধান্ত প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের মত নিয়েছে এবং বাস্তবায়ন করেছে।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যায়ে ছাত্ররাজনীতির চিত্র তুলে ধরে কবির হোসেন বলেন, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র রাজনীতির কারণে নানা ধরনের মারামারি বা সংঘাত হয়, সেটা তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে হতে দিতে চান না।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের অধিকার থাকতে পারে, তারা করুক। কিন্তু আমাদের প্রেমিসেসের (আঙ্গিনা) মধ্যে না করার কথা বলছি আমরা।

বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই সেখানে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ ছিল। যে কারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কমিটি গঠন নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই নানা আলোচনা চলছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ নিয়ে পৃথকভাবে তাদের মতামত এবং প্রতিক্রিয়াও জানাচ্ছে।