ঢাবির পর উচ্চ আদালতকে নর্থ সাউথ শিক্ষার্থীদের ‘স্যালুট’
নরসিংদীর রেলস্টেশনে তরুণীকে হেনস্তা প্রসঙ্গে উচ্চ আদালতের বক্তব্যে সংহতি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। শনিবার (২৭ আগস্ট) ক্যাম্পাসে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা ছোট পোশাককে ঘৃণা প্রদর্শন করেন।
মানববন্ধনে প্রাণরসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মুহম্মদ সোহেল রানা বলেন, গত ১৬ আগস্ট একটি মামলার পর্যবেক্ষণে উচ্চ আদালত পোশাকের স্বাধীনতার নাম দিয়ে যারা পশ্চিমা অপসংস্কৃতি আমদানি করছে, তাদের বিরুদ্ধে বলেছেন। আমরা উচ্চ আদালতের এ সুন্দর পর্যবেক্ষণ ও বক্তব্যকে স্যালুট জানাই।
তিনি বলেন, ‘আমার শরীর, আমার চয়েস’ এই তত্ত্ব যতটুকু সত্য, তার থেকেও বড় সত্য ‘কাউকে বিরক্ত বা ক্ষতি করার অধিকার আমার নেই’। তাই এমন পোশাক পরিধান করা কখনোই ঠিক হবে না, যা অন্যদের মাঝে বিরক্তি বা নুইসেন্স তৈরী করে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থী সজীব দে বলেন, বায়োলজিকাল আকর্ষণের বিষয়টি বৈজ্ঞানিক সত্য। এটা আমরা অস্বীকার করতে পারি না। অনেকে অপসংস্কৃতির পোশাক পরে বিপরীত লিঙ্গকে যৌন প্ররোচিত বা সিডিউস করতে চান। ব্যক্তির অনিচ্ছা সত্ত্বেও কেউ যখন তাকে সিডিউস করার চেষ্টা করে তখন সেটা এক প্রকার মানসিক নির্যাতন, যা মূলত একটি ক্রাইম।
আরও পড়ুন: ‘ছোট পোশাক নারীকে বিজ্ঞানী বানায় না, পণ্য বানায়’
মানববন্ধনে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জুনায়েদ হোসাইন বিদ্যুৎ বলেন, সংস্কৃতি আর মূল্যবোধকে গুলিয়ে ফেললে হবে না। বিদেশী সংস্কৃতি আসতে পারে, তবে সেটা আমরা তখনই গ্রহণ করবো, যখন তা আমাদের মূল্যবোধের মাপকাঠিতে টিকে। যে সংস্কৃতি আমাদের মূল্যবোধের মাপকাঠিতে টিকবে না, সেটা আমরা কখনোই গ্রহণ করবো না। অনেকে দেশী সংস্কৃতির গলায় ছুরি চালিয়ে এসব বিদেশী অপসংস্কৃতি জোর করে চাপিয়ে দিতে চায়, এরা আসলে কালচারাল টেরোরিস্ট।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে উচ্চ আদালতকে অভিবাদন জানিয়ে কর্মসূচি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। এ সময় ঢাবি শিক্ষার্থীরা ‘ছোট পোশাক নারীকে বিজ্ঞানী বানায় না, পণ্য বানায়’, ‘দেশীয় মূল্যবোধ বিরোধী সংস্কৃতি গ্রহণযোগ্য নয়’ প্ল্যাকার্ডে পোশাকের নামে পশ্চিমা অপসংস্কৃতি আমদানিকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি করেন।