১৮ জুলাই ২০২২, ১০:১৮

পুনর্গঠন হচ্ছে নর্থ সাউথের ট্রাস্টি বোর্ড

পুনর্গঠন হচ্ছে নর্থ সাউথের ট্রাস্টি বোর্ড  © ফাইল ছবি

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ (বিওটি) পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক পাঁচজন ট্রাস্টির বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় নতুন এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শিগগিরই এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব চ্যান্সেলরের কাছে পাঠানো হবে।

নর্থ সাউথের শীর্ষ পর্ষদ থেকে বাদ পড়তে যাওয়া সদস্যরা হলেন- আজিম উদ্দিন আহমেদ, রেহানা রহমান, এমএ কাশেম, মোহাম্মদ শাজাহান ও বেনজীর আহমেদ।

যে পাঁচজন সদস্যকে বিওটি থেকে বাদ দেয়ার কথা বলা হচ্ছে, এক দশক ধরে তারাই ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকের ভূমিকায়। এদের সবাই বিভিন্ন মেয়াদে ফাউন্ডেশন ও বিওটি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।

গত কয়েক বছরে তাদের সংশ্লিষ্টতায় জমি কেনার নামে অর্থ আত্মসাৎ, শিক্ষার্থীদের টিউশন ফির টাকায় গাড়ি ও ভ্রমণবিলাস, অবৈধভাবে মোটা অংকের সিটিং অ্যালাউন্সের মতো বড় বড় আর্থিক কেলেঙ্কারি ঘটে নর্থ সাউথে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টিদের অনিয়ম তদন্ত করতে গিয়ে জমি কেনা বাবদ কয়েকশ কোটি টাকার অনিয়ম খুঁজে পায় দুদক।

আরও পড়ুন: নর্থ সাউথের অনিয়ম তদন্তে কমিটি

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) তদন্তে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের বেশকিছু অনিয়ম উঠে আসে। এ বিষয়ে দুদকের করা একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন। সেখানের একজন ট্রাস্টি প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর জালিয়াতি মামলার আসামি।

তিনি বলেন, সরকারের নানা সংস্থার বিভিন্ন তদন্ত ও পর্যবেক্ষণের আলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয়টির কল্যাণে ট্রাস্ট পুনর্গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে। তাই সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক সভায় এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব চ্যান্সেলরের কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ট্রাস্টি বোর্ড থেকে বাদ পড়তে যাওয়া ৫ সদস্যের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে জমি কেনা বাবদ কয়েকশ কোটি টাকার অনিয়ম খুঁজে পায় দুদক। এ ঘটনায় গত ৫ মে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়টির পাঁচজন ট্রাস্টিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক।

এ মামলায় জামিন চেয়ে গত ২২ মে আদালতে হাজির হলে চারজন ট্রাস্টিকে শুরুতে পুলিশি হেফাজত এবং পরে কারাগারে পাঠান আদালত। তারা এখনো জামিন পাননি।