২৮ জুন ২০২২, ২২:৫২

শিক্ষক শিক্ষকের জগৎ নিয়ে, ছাত্র আছেন ছাত্রের জগৎ নিয়ে: শায়খ আহমাদুল্লাহ

শায়খ আহমাদুল্লাহ  © সংগৃহীত

ইসলামী চিন্তাবিদ ও আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন, পৃথিবীতে বড় বড় যত মনীষী তৈরি হয়েছে, ইসলামিক দিক থেকে বলেন কিংবা সাধারণ দিক থেকে বলেন সবার ইতিহাস দেখুন, শিক্ষার্থী হিসেবে শিক্ষকের সাথে তাদের নিগুঢ় সম্পর্ক ছিল। যেটা আজকাল নেই। বিশ্ববিদ্যালয়তো অনেক পরের কথা এটি স্কুল লেভেল থেকেই নেই।

তিনি আরও বলেন, আমরা ছোট বেলায় দেখেছি, কোনো শিক্ষার্থী স্কুলে না এলে শিক্ষক বাড়িতে চলে যেতেন। এখন তা কল্পনাও করা যায় না। শিক্ষক এখন শিক্ষকের জগৎ নিয়ে আছেন, ছাত্র আছেন ছাত্রের জগৎ নিয়ে। শিক্ষকদের সাথে সুনিবিড় সম্পর্ক গড়া ছাড়া কখনো আমাদের জ্ঞানের পূর্ণতা সম্ভব নয়।

আজ মঙ্গলবার (২৮ জুন) আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে (আইআইইউসি) অটাম সেমিস্টারের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে স্পীকারের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শায়খ আহমদুল্লাহ বলেন, আইআইইউসি এমন শিক্ষার্থী তৈরি করেছে যারা বিশ্বব্যাপী যোগ্যতার প্রমাণ রাখছে। তারুণ্যের কোনো কালিমা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেন না লাগে তা নিশ্চিত করতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশই যথেষ্ট। নৈতিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার মধ্য দিয়েই অন্য দশটি প্রতিষ্ঠান থেকে আইআইইউসিকে আলাদা থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়তে এসে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে তরুণদের অনেকে নিজের মেধা-চরিত্রকে ধ্বংস করছে।

তিনি আরও বলেন, আইআইইউসি শিক্ষার্থীদের উন্নত চরিত্রের অধিকারী হতে হবে, উদ্যোক্তা হওয়ার যোগ্য হতে হবে। চাকরির প্রতি দুর্বলতা থেকে বের হয়েই তাদের উদ্যোক্তা হতে হবে। নবী করিম (স.) ব্যবসাকে সবসময় উৎসাহ দিতেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইআইইউসি বোর্ড অব ট্রাস্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আইআইইউসি’র বোর্ড অব ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী দ্বীন মুহাম্মদ, উপ উপাচার্য প্রফেসর ড. মছরুরুল মওলা, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ড. ইঞ্জিনিয়ার রশীদ আহমেদ চৌধুরী, বোর্ড অব ট্রাস্টের সদস্য রিজিয়া রেজা চৌধুরী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রফেসর ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী বলেন, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম জ্ঞান বিতরণের পাশাপাশি জ্ঞান সৃজনেও ভূমিকা রাখছে। বিশ্বব্যাপী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। আইআইইউসি বর্তমানে অবকাঠামো এবং অ্যাকাডেমিকভাবে শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে।