অগোচরে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডে কেয়ার সেন্টার
- তানভীর আহম্মেদ, গবি
- প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২২, ১১:৩৬ AM , আপডেট: ২৩ জুন ২০২২, ১২:৪২ PM
নারী শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস টাইমে অল্প বয়সী বাচ্চা রাখা ও দেখাশোনার জন্য অনেক প্রতিষ্ঠানে ডে কেয়ার সেন্টার রয়েছে। সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়েও (গবি) রয়েছে এমন সুন্দর একটি ডে কেয়ারের ব্যবস্থা, তবে তা রয়ে গেছে অনেকটা আড়ালে।
সম্প্রতি সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে, ক্যাম্পাসের নিচতলায় সি-ব্লকের পাশে গবি সাংবাদিক সমিতির (গবিসাস) কার্যালয়ের পাশে এক কোণে সেন্টারের অবস্থান। ভেতরে বাচ্চাদের ছোটাছুটি দেখে বোঝা গেলেও চেনার জন্য নেই কোনো সাইনবোর্ড। নামহীন এই ডে কেয়ার সেন্টারের ভেতরে অবশ্য রয়েছে সুন্দর পরিপাটি ব্যবস্থা। বাচ্চাদের জন্য আছে দোলনা, খেলনা গাড়ি, বেবি কটসহ অন্যান্য বিভিন্ন সামগ্রী। তবে বর্তমানে এখানে রয়েছে মাত্র ৭ জন বাচ্চা।
ভেতরে বাচ্চা রেখে পাশেই কাজ করছিলেন একজন স্টাফ। হঠাৎ কান্না করায় তিনি এসে কোলে নেন। বাচ্চা কোলে তখন এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, এটা থাকায় বেশ সুবিধা হয়েছে। বাচ্চাকে রেখে কাজ করতে পারি।
২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি এই সেন্টারটি চালু করা হয়। তখন থেকেই এখানে তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কাজ করছেন ফাহিমা বেগম। তিনি বলেন, 'আগে বাচ্চা বেশি ছিল। করোনার পর কমে গেছে। আপাতত শুধু আমিই এখানে কাজ করছি। তবে একা বাচ্চাদের দেখাশোনা করা কঠিন।'
আরও পড়ুন: লাল পতাকা হাতে সহপাঠীদের বিক্ষোভে স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ে রোধ।
সেন্টারের পরিচালক রুবা আক্তার জানান, প্রতিদিন অফিস টাইম পর্যন্ত এটা চালু থাকে। এক থেকে পাঁচ বছর বয়সী বাচ্চাদের এখানে রাখা হয়। শিক্ষকদের বাচ্চার জন্য এক হাজার এবং স্টাফদের জন্য পাঁচশ টাকা ফি দিতে হয়। তবে বাচ্চাদের খাবারের খরচ ব্যক্তিগতভাবে বহন করতে হয়। সুন্দর ব্যবস্থা সম্পন্ন এই সেন্টারে প্রায় ৩০ জনের বেশি বাচ্চা রাখা সম্ভব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, এটার আরও বেশি প্রচার এবং সর্বোচ্চ ব্যবহার হওয়া উচিত। একইসাথে আধুনিকায়ন করা যেতে পারে। অনেক মেয়ে শিক্ষার্থীর বাচ্চা থাকে। তারাও এখানে বাচ্চা রাখতে পারে।
সার্বিক বিষয়ে নজরে আনলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ এস. তাসাদ্দেক আহমেদ বলেন, 'দ্রুতই একটা সাইনবোর্ডের ব্যবস্থা করবো। আর এটা সকলকে অবগত করার জন্য একটা নোটিশ দিয়ে দিব। তোমরা পরামর্শ দাও, আর কি করা যেতে পারে।'