প্রমিজ নাগের ‘শেষ হাসি’
নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলোজি, খুলনার প্রমিজ নাগ নামে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার (২২ জুন) নগরীর গোবরচাকা ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়। মৃত্যুর আগে তিনি নিজের ফেসবুকে হাস্যজ্জল একটি ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন ‘শেষ হাসি’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আসিফ উদ্দিন মারুফ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে ঘটনার প্রমিজ নাগের আত্মহত্যার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর নাজিরপুরে। তিনি জ্যোতির্ময় নাগের ছেলে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
প্রক্টর আসিফ উদ্দিন বলেন, প্রমিজ গোবরচাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। প্রতিদিনের মত আজকেও তিনি দুপুরের খাবারের পর তার কক্ষের দরজা বন্ধ করে বিশ্রাম করছিলেন। কিন্তু বিকেলের পরেও তিনি তার কক্ষ থেকে বের না হলে তার বাসার বন্ধুরা তাকে ডাকাডাকি করেন। পরে সন্দেহ হলে তার বন্ধুরা কক্ষের দরজা ভেঙে তার তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান।
তিনি বলেন, প্রমিজের বন্ধুরা পরে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎচক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আমরা খবর পেয়েই হাসপালে উপস্থিত হয়েছি। তার পরিবারের সঙ্গেও আমাদের কথা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল করীম তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভাড়া বাসায় নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের আত্মহত্যা
প্রমিজ নাগ বিকালে তার নিজের কক্ষে বিছানার চাদর ফ্যানের হুকে ঝুলিয়ে গলায় ফাঁস দেন বলে জানা গেছে। প্রমিজের শিক্ষকরা জানিয়েছেন, তিনি একজন ফটোগ্রাফার ছিলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি ভালো ছবি তুলতেন। ভালো এডিটিংয়ের দক্ষতাও ছিল তার। এছাড়া তিনি নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলোজি থেকে একটি অনলাইন পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কাজ করতেন।
সোনাডাঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক রহিত কুমার বিশ্বাস দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারণা, তিনি প্রেম ঘটিত কোন কারণে আত্মহত্যা করেছেন। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে কিছু আলামত সংগ্রহ করেছি। সবকিছু বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।