নিখোঁজ ছাত্রের সন্ধান চেয়ে বিইউবিটি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ
গত ১১ এপ্রিল রাজধানীর মিরপুর-২ নম্বরের বসতি হাউজিংয়ের বাসা থেকে বের হন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) শিক্ষার্থী ইফাজ আহমেদ চৌধুরী। এরপর ৩৭ দিন পেরিয়ে গেলেও তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ হওয়া ইফাজের সন্ধান চেয়ে আজ মঙ্গলবার (১৭ মে) দুপুর ১২টায় বিইউবিটি ক্যাম্পাসেমানববন্ধন ও বিক্ষোভের আয়োজন করেন সহপাঠীরা। এ সময় তারা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘ফিরিয়ে দাও ফিরিয়ে দাও ইফাজকে ফিরিয়ে দাও’, ‘আমার ভাই নিখোঁজ কেন প্রশাসন জবাব চাই’ এমন স্লোগান দিতে থাকেন।
আন্দোলনত শিক্ষার্থীরা বলেন, এক মাসের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও নিখোঁজ হওয়া ইফাজের কোনো সন্ধান এখনো মেলেনি। দিনে-দুপুরে একজন শিক্ষার্থী এভাবে নিখোঁজ হয়ে যাবে আর প্রশাসন চুপ থাকবে এটি আমরা মেনে নেবো না। আমরা দ্রুত সুস্থ স্বাভাবিকভাবে ইফাজের সন্ধান চাই।
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাজিরুর রহমান বলেন, রূপনগর বিইউবিটি ক্যাম্পাসের সামনে শিক্ষার্থীরা একটি মানববন্ধন করেছে। তারা নিখোঁজ হওয়া ইফাজের সন্ধানের দাবি করেছে। ইফাজ যে যে রাস্তা ধরে গিয়েছে সেই রাস্তার একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করছি। ইফাজকে খুঁজে বের করতে আমাদের টিমসহ একাধিক টিম কাজ করছে।
ইফাজ নিখোঁজের ঘটনায় গত ১১ এপ্রিল মিরপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ইফাজের মা জান্নাতুল ফেরদৌস। তিনি বলেন, মিরপুর-২ নম্বরের বসতি হাউজিংয়ে গত ১৪ বছর ধরে থাকি। আমার স্বামী যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। ইফাজ আমাদের একমাত্র ছেলে। তার বিইউবিটির কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষ শেষ করে তৃতীয় বর্ষে ওঠার কথা। গত ৯ মাস আগে ইফাজ বিয়ে করেছে। তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা।
ঘটনার দিনের বর্ণনা দিয়ে ইফাজের মা বলেন, গত ১১ এপ্রিল ১২টা ৪৫ মিনিটে বাসা থেকে বের হয়ে মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডের একটি প্রাণি হাসপাতালে যায় ইফাজ। সেখানে কেন গিয়েছিল আমরা তা জানি না। সেখানে ৩০ মিনিট থাকার পর সনি সিনেমা হলের সামনে এসে সে নিখোঁজ হয়ে যায়। বাসা থেকে বের হওয়ার পর ইফাজ যেখানে গিয়েছে সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখা যায়, মিরপুর-১ নম্বর থেকে সনি সিনেমাহল পর্যন্ত তাকে একটি কালো মাইক্রোবাস অনুসরণ করেছে। পরে থানা, ডিবি ও র্যাবের কাছে যাই একাধিকবার। কিন্তু তারা আমার ছেলের কোনো সন্ধান দিতে পারেনি।