যে কারণে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বেশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে
দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়ছে প্রতিনিয়ত। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ৮৩ জন বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল।
একই বছর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী বেশি ছিল ৭৮৩ জন। গত বছরের চেয়ে এ সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।
সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) ৪৭তম বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২০২০ সালে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থী ছিল ১৫৫০ জন। ২০১৯ সালে ছিল ১৪৬৭ জন। আবার ২০২০ সালে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বিদেশি শিক্ষার্থী ছিল ৭৬৭ জন।
ইউজিসি জানায়, প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় পড়তে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা। ডিজিটালাইজেশনের কারণে উচ্চশিক্ষার কোর্স কারিকুলাম, সিলেবাস ইত্যাদি দেখেই তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আগ্রহ পাচ্ছেন বেশি। অনলাইনের মাধ্যমেও পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন তারা।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২০ সালে দেশের ৯৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩২টিতে বিদেশি শিক্ষার্থী ছিল। ২৬টি দেশের শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। দেশগুলো হচ্ছে—ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, চীন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, ইয়েমেন, ফিলিস্তিন, গাম্বিয়া, মরক্কো, সাউথ কোরিয়া, কানাডা, মৌরিতানিয়া, তানজানিয়া, অস্ট্রিয়া, রোয়ান্ডা, জিবুতি, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, আফগানিস্তান, সাউথ সুদান ও বাহরাইন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২০ সালে দেশে করোনাভাইরাসের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব সত্ত্বেও গত বছরের তুলনায় বিদেশি শিক্ষার্থী বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসার। যার কারণে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, চীন, কানাডা থেকেও শিক্ষার্থীরা পড়তে এসেছিল এ দেশে।
ইউজিসির প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়, বিদেশি শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার কারণে বহির্বিশ্বে যেমন বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে, তেমনি বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনও।