বোয়ালমারীতে স্নাতকে ফরম পূরণে বাড়তি অর্থ আদায়ের অভিযোগ
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজে স্নাতক পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। কারণ জানতে চাওয়ায় এক শিক্ষার্থীকে টিসির হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী।
বুধবার (২০ অক্টোবর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই কলেজের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের সমাজকর্ম বিভাগের ছাত্রী সাদিয়া ইসলাম বাবা সৈয়দ আলী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, স্নাতক তৃতীয় বর্ষের বোর্ড পরীক্ষার ফরম পূরণ বাবদ প্রতিষ্ঠানটি ৪ অক্টোবর সাদিয়ার কাছ থেকে বোর্ড ফিসহ বিভিন্ন খাত দেখিয়ে ৩ হাজার ৭৫০ টাকা আদায় করে (যদিও সরকার নির্ধারিত বোর্ড ফি ১ হাজার ৪৫০ টাকা)। করোনার সময় অ্যাসাইনমেন্ট জমা নেওয়ার নামে তার কাছ থেকে ১ হাজার টাকা নেয় কতৃপক্ষ।
শিক্ষাবর্ষের (২০১৭-১৮) ভর্তি ফি ২ হাজার ৭২০ টাকা, বেতন ৩ হাজার ৬০০ টাকাসহ সব পাওনাদি নিয়মিত পরিশোধ করার পরও দফায় দফায় কলেজটির দাবিকৃত অতিরিক্ত অর্থ পরিশোধ করতে গিয়ে একজন দরিদ্র অভিভাবক হিসেবে তার বাবাকে চরম কষ্ট ও দুর্ভোগ শিকার হচ্ছে।
অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়ে অফিস সহকারী মো. কামরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে, তিনি সাদিয়ার বাবা সৈয়দ আলীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং হুমকি দিয়ে জানান, ‘মেয়েকে পড়ালেখা শেখাতে হলে টাকা দিতে হবে। আর এসব নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোমার মেয়ের কপালে দূগর্তি আছে। তাকে লাল টিসি দিয়ে কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজের অফিস সহকারী মো. কামরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনা সক অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি জানান, আমি লাল টিসির ব্যাপারে কারও সঙ্গে কোনো কথা বলিনি। আর আমি টাকা পয়সা নেওয়ার ব্যাপারেও কিছুই জানি না। আপনারা কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেন।
এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফরিদ আহমেদের মোবাইলে ফোন করে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে সব কিছু শুনে পরে কথা বলবো বলে ফোন কেটে দেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রেজাউল করিম জানান, অভিযোগ তদন্ত করে সততা পাইলে। বিধি মোতাবেক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।