০৮ অক্টোবর ২০২১, ১২:৫৮

তেজগাঁওয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ৩

কেশব রায় পাপন  © ফাইল ছবি

রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র কেশব রায় পাপনকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হচ্ছে- জুয়েল, জাহাঙ্গীর ওরফে মুটো জাহাঙ্গীর ও নুরুজ্জামান ওরফে মামুন। গ্রেফতার ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। 

বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে জুয়েল, বেগুনবাড়ি থেকে জাহাঙ্গীর ও নোয়াখালী জেলা থেকে নুরুজ্জামানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছেন তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহ উদ্দিন মিয়া।

গত ৫ অক্টোবর রাতে তেজগাঁও থানার প্রিন্স হোটেলের সামনে সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র কেশব রায় পাপনকে অজ্ঞাতপরিচয় অস্ত্রধারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে অঘাত করে গুরুতর জখম করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পাপন। এ ঘটনায় পরদিন অজ্ঞাতনামা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হলে তদন্ত শুরু করে তেজগাঁও থানা পুলিশ।

তেজগাঁও থানার ওসি সালাহ উদ্দিন মিয়া জানান, এই মামলা তদন্তকালে ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা, তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়। পরে হাতিরঝিল এলাকা থেকে জুয়েলকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।  

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ওসি সালাহ উদ্দিন জানান, নিহত কেশব রায় পাপন প্রতিদিনের ন্যায় ৫ অক্টোবর রাতেও কাজ শেষে সাইকেলযোগে মনিপুরিপাড়ার বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে তারা ছিনতাইয়ের উদ্দেশে কেশবের পথরোধ করে। কেশব ছিনতাইয়ে বাঁধা দিলে তার সঙ্গে ছিনতাইকারীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়।

ছিনতাইকারীরা এ সময় তার মোবাইলটি নিয়ে পালিয়ে যেতে চাইলে কেশব ছিনতাইকারী নুরুজ্জামানকে জাপটে ধরেন। এসময়ে নুরুজ্জামান ধারালো সুইচ গিয়ার দিয়ে কেশবকে উপর্যুপরি আঘাত করে পালিয়ে যায়।

আঘাতের ঘটনায় শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে কেশব নিস্তেজ হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকলে পথচারীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।