সিবিআইইউ’র ভিসি নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি

ভিসি নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন
ভিসি নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন  © টিডিসি ফটো

উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ এবং স্থায়ী ক্যাম্পাসসহ ২১ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (সিবিআইইউ) শিক্ষার্থীরা। একই দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের পর জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি দ্বন্দ্ব নিয়ে আমাদের কোনো ভাবনা নেই। আমরা কক্সবাজারের সন্তান। আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। তাই আমাদের ভবিষ্যৎ সাজাতে বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছি।

এ সময় তারা চলতি মাসে অভিভাবক সমাবেশ, ইউনিভার্সিটি গেট অবরুদ্ধ করাসহ নানা কর্মসূচি ঘোষণা দেন।

ছাত্র নেতৃবৃন্দ বলেন, সম্প্রতি ইউজিসি পরিদর্শন দল আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সরেজমিন পরিদর্শন শেষে এক বছরের জন্য শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখতে সুপারিশ করেছে। এতে বুঝা যায়, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার প্রাথমিক ধাপ শুরু হয়ে গেছে। যেখানে শিক্ষার্থী ভর্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে গুরুত্বারোপের কথা রয়েছে সেখানে ইউজিসি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখার এ সুপারিশ আমাদেরকে চরমভাবে হতাশ করেছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এহেন করুণ পরিস্থিতির ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে ক্ষুব্দকন্ঠে বলেন, বিগত দেড় বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার কোনো পরিবেশ নেই। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে যে ট্রাস্টের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হয়ে এসেছে তা বাদ দিয়ে হঠাৎ করে আরেকটি নতুন ট্রাস্ট গঠিত হওয়ায় এখানে মামলা-মোকাদ্দমা থেকে শুরু করে নানান বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে তা নিষ্পত্তিপূর্বক পূর্বের ন্যায় শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা না হলে প্রাণের এ বিশ্ববিদ্যালয় রক্ষায় আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে মর্মে সম্মিলিতভাবে তারা হুশিয়ার করেন।

স্মারকলিপিতে রাষ্ট্রপতি নিয়োগকৃত ভাইস চ্যান্সেলর ও ট্রেজারার নিয়োগ, স্থায়ী ক্যাম্পাস সুবিধা, নিয়ম মোতাবেক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা, ওয়েবসাইট, সেশনজট বিলুপ্তকরণ ও সেমিস্টার ফি নিয়ে সঠিক নীতিমালা প্রণয়ন, ট্রাস্টি বোর্ড ও প্রশাসনিক গোলযোগ থেকে শিক্ষা কার্যক্রমকে মুক্ত রাখা, গবেষণা, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিজিট ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বরাদ্দ প্রদানসহ ও ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের কথা বলা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ