১৭ আগস্ট ২০২১, ১৬:০১

নর্থ সাউথের ট্রাস্টিদের গাড়ি নিয়ে আপিল বিভাগের প্রশ্ন

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টিদের জন্য ক্রয় করা সাড়ে ৩ কোটি টাকার রেঞ্জ রোভার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ইংলিশ মিডিয়াম সানিডেল স্কুলের ভ্যাট ট্যাক্স সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিকালে মঙ্গলবার আপিল বিভাগ এই প্রশ্ন তোলেন।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ পাঁচ বিচারপতির ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চে এ শুনানি গ্রহণ করা হয়। আদালতে সানিডেল স্কুলের পক্ষে ব্যারিস্টার আহসানুল করিম শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

ব্যারিস্টার আহসানুল করিম শুনানিতে বলেন, স্কুলের ভ্যাট-ট্যাক্স অভিভাবকদের থেকে নিয়েই সরকারকে পরিশোধ করতে হবে। অন্যথায় স্কুল থেকে কিভাবে ভ্যাট পরিশোধ করবে?

এসময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট প্রসঙ্গ নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, পত্রিকায় দেখলাম একটি প্রাইভেটি ইউনিভার্সিটি সাড়ে ৩ কোটি টাকা দিয়ে পাচঁ/সাতটা গাড়ি কিনেছে। যে গাড়িগুলো তাদের ট্রাস্টিদের দেওয়া হয়েছে।

তখন আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী বলেন, এটা কোন ইউনিভার্সিটি বলেন। জেনে রাখা দরকার। 

তখন অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এনএসইউ (নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়)। এসময় বিচারপতি বলেন, তাহলে ট্রাস্টি হলেই তো লাভ। 

প্রধান বিচারপতি বলেন, টাকা ইনকাম যদি বেশি হয়, তাহলে তো হবেই!

আদালত আরও বলেন, দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সরকারকে ভ্যাট দিতে চায় না। অথচ ভ্যাট দিতে না চাইলেও ট্রাস্টিদের জন্য কিনেছেন কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে বিলাসবহুল গাড়ি।

তখন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ আদালতকে বলেন, অথচ চুক্তি আছে ট্রাস্টি হয়ে কোনো সুবিধা নেবে না।

এসময় আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ক্যাশে নিচ্ছে না। অন্যভাবে নিলো আর কি। তবে খবরে দেখলাম লজ্জায় পড়ে তারা গাড়ি ফেরত দিয়েছেন।

নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কেনা দামি ও বিলাসবহুল গাড়ি বোর্ড অফ ট্রাস্টির সদস্যরা ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করছেন। এই অভিযোগ ওঠার পর সমালোচনার মুখে এসব গাড়ি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ফেরত দিয়েছেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ৯ সদস্য। 

বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের নানা রকম অনিয়মের অভিযোগের ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ গাড়িসংক্রান্ত অনিয়মের বিষয়টি নজরে আসে। এ নিয়ে তদন্তও করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।