বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাড়বে টিউশন ফি
আগামী অর্থবছরে জাতীয় বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ হারে কর আরোপের প্রস্তাব করায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো টিউশন ফি বাড়াবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আর সেই করের বোঝা শিক্ষার্থীদের উপর চাপানোয় প্রস্তাবের বিরোধিতা করে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গত মঙ্গলবার রাজধানীর শাহবাগে মানববন্ধন করে আজ বৃহস্পতিবার ধানমণ্ডির শংকরে এবং শুক্রবার রামপুরায় মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন।
২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সংসদে উপস্থাপন করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রযোজ্য সাধারণ করহার হ্রাস করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ, বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ, বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বা শুধু তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষাদানে নিয়োজিত বেসরকারি কলেজ থেকে উদ্ভূত আয়ের ১৫ শতাংশ হারে কর নির্ধারণ করা হয়েছিল। মহান এই সংসদে আমি এই করহার অর্থ আইনের মাধ্যমে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।’
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাত বছরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার বিধান থাকলেও অর্থাভাবে বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় এখনো স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি। এ ছাড়া বড় কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বাদে বাকিগুলোতে করোনা মহামারির এই সময়ে শিক্ষার্থীও পাওয়া যাচ্ছে না। উপরন্তু এই সময়ে কর আরোপ করা হলে অনেক ছোট বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের উপক্রম হবে। ফলে তারা টিকে থাকতে ফের সার্টিফিকেট বিক্রি বা কোনো রকম ভর্তি করে সার্টিফিকেট দেওয়ার মতো কার্যক্রম চালাতে পারে।
বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন বাজেট-পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ হারে কর আরোপের প্রস্তাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ-উত্কণ্ঠার সৃষ্টি করেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আর্থিক সংকটে পড়বে এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির কারণে উচ্চশিক্ষা অর্জন বাধাগ্রস্ত হবে। করোনার কারণে বর্তমানে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই টিউশন ফি দিতে পারছেন না। এই সময়ে করারোপ করা হলে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাপক বৈষম্য সৃষ্টি হবে।
আরও দেখুন:
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর কর আরোপ ছাত্র স্বার্থবিরোধী
শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি পায়নি যে ৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়