মানসিক যন্ত্রণায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের আত্মহত্যা
রাজধানীর মিরপুর ২ নম্বর সেকশনের একটি বাসা থেকে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি ‘সুইসাইড নোট’ উদ্ধারও করা হয়েছে। আজ বুধবার (১৯ মে) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। মিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সৈয়দ আখতার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মিরপুরের শিয়ালবাড়ি এলাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন মাহমুদুল। তার গ্রামের বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলায়। বাবার নাম এ কে এম রেজাউল হক।
পুলিশ জানিয়েছে, তিনি মিরপুর ২ নম্বর সেকশনের জি ব্লকের ১ নম্বর সড়কের ১১ নম্বর বাড়ির দোতলায় মাহমুদুলসহ চারজন মেস করে থাকতেন। তাঁর সঙ্গে থাকা তিনজন ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গেলেও তিনি একা বাসায় ছিলেন। আজ সকালে তাঁর এক রুমমেট এসে চাবি দিয়ে দরজা খুলে ভেতরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় দড়ি প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখেন।
পড়ুন: করোনাকালেও থামছে না আত্মহত্যার মিছিল, নেপথ্যে বেকারত্ব-নিঃসঙ্গতা-প্রেম
এ সময় মিরপুর থানায় জানালে পুলিশ এসে তাঁর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। অন্তত তিন দিন আগে তাঁর মৃত্যু হয় বলে ধারণা পুলিশের। মাহমুদুলের বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলায়। তাঁর বাবার নাম এ কে এম রেজাউল হক। বিকেলে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সৈয়দ আখতার হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি ‘সুইসাইড নোট’ পাওয়া গেছে। সেখানে তিনি মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করেননি। চিরকুটে লেখা রয়েছে, মানসিক যন্ত্রণা থেকেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি। এর সূত্র ধরে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে।