গুণগত শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই: ডিআইইউ ভিসি

  © টিডিসি ফটো

টাইমস হায়ার এডুকেশন ইমপ্যাক্ট র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআই্‌ইউ) শীর্ষস্থান অর্জন উদযাপনের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস অব দি স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্স আজ সোমবার (২৬ এপ্রিল) আয়োজন করেছে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়’ শীর্ষক এক অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস (ইউল্যাব)-এর উপাচার্য অধ্যাপক শামসাদ মর্তুজা, ইউএনডিপির স্ট্রেনডেনিং ইনস্টিটিউশনাল ক্যাপাসিটি ফর এসডিজিস অ্যাচিভমেন্ট ইন বাংলাদেশের চিফ টেকনোলজি অ্যাডভাইজর ফখরুল আহসান এবং দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মীর মোহাম্মদ জসিম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান।
 
বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান বলেন, গুণগত শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। আমাদেরকে সবার আগে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। তবে গুণগত শিক্ষাই শেষ কথা নয়। একজন শিক্ষার্থীকে এই পৃথিবীতে টিকে থাকতে হলে শিক্ষার পাশাপাশি আরও অনেক কিছুর প্রয়োজন হয়। যেমন মানবিক মূল্যবোধ, কারিগরি দক্ষতা, প্রযুক্তির জ্ঞান ইত্যাদি। আমরা আমাদের শির্ক্ষাীকে এইসব শিক্ষাও প্রদান করি। ফলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এসডিজির লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সমাজে অনেক ধরনের মানুষ থাকে। কৃষক, শ্রমিক, রিকশা চালক থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ রয়েছে। এদের সবাইকে নিয়ে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সমাজ যেন আমরা গড়ে তুলতে পারি, সেই শিক্ষায় আমাদের তরুণ প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে।
 
অধ্যাপক শামসাদ মর্তুজা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব রয়েছে দেশের প্রতি এবং বিশ্বের প্রতি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমরা দেশটাকে কীভাবে রেখে যাচ্ছি তা ভাবতে হবে। ভাবতে হবে বিশ্ব নিয়েও। একটি টেকসই, বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তোলার জন্য এসডিজি এবং এমডিজির লক্ষ্যগুলো অর্জন করা ছাড়া উপায় নেই। আশার কথা, আমাদের দেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এসব দিকে লক্ষ্য রেখে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যার ফলে টাইম র‌্যাংকিংয়ের মতো মর্যাদাপূর্ণ র‌্যাংকিয়ে স্থান পেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শুধু ক্লাসরুমে শেখালেই চলবে না। ক্লাসরুমের বাইরেও শিক্ষার অনেক উপকরণ ছড়িয়ে আছে। সে সবের সঙ্গে শিক্ষার্থীদেরকে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে।
 
ফখরুল আহসান তার আলোচনায় বলেন, এসডিজির ১৭টি লক্ষ্য রয়েছে। প্রতিটি লক্ষ্যের সঙ্গে যুব সম্প্রদায় সম্পৃক্ত করার ব্যাপার রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তাদের তরুণ শিক্ষার্থীদেরকে এসব লক্ষ্যের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। এসডিজি লক্ষ্যের মূল কথা হচ্ছে, সমাজের কোনো অংশ যেন পিছিয়ে না থাকে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়ন ঘটাতে হবে। বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত এসডিজি গোল নিয়ে কাজ করা।

সাংবাদিক মীর মোহাম্মদ জসিম বলেন, বাংলাদেশের সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয় মিলে অন্তত ৪০ লাখ শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে। এই বিপুল সংখ্যক তরুণ শিক্ষার্থীকে যদি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুণগত শিক্ষায় শিক্ষিত কওে গড়ে তুলতে পাওে, তবে ২০২৫ সালের মধ্যেই এসডিজির লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে। 


সর্বশেষ সংবাদ